বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল তিব্বত (Tibet)। সূত্রের খবর , এখনো পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পে। আজ সকালে ১ ঘণ্টার মধ্যে ৬ বার কম্পন অনুভূত হয় তিব্বত অঞ্চলে। কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.১। প্রথম ভূমিকম্পের পর ৪০ টিরও বেশি কম্পন হয়েছে সেখানে। তার মধ্যে ১৬টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৩-এর বেশি।
তিব্বতে ভূমিকম্পের (Earthquake) ব্যাপক প্রাণহানি
এমনকি ভূমিকম্প অনুভূত হয় নেপাল, ভুটান ও ভারতেও। রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালের ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত ৫৩ জনের নিহত (Dead) হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চীনের জিনহুয়া সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, সেদেশে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন। আহতের সংখ্যা ৬২। একাধিক বহুতল ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে ভূমিকম্পের এপিসেন্টারের কাছে।
তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয় ডিংরি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। আজ সকালের ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে ভারতের (India) বিস্তীর্ণ এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে কম্পন অনুভূত হয় দিল্লি, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। বিশেষ করে বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিমের মতো রাজ্যগুলিতে অনুভূত হয় কম্পন। যদিও ভারতে ভূমিকম্পের ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আরোও পড়ুন : ফোনের নেশায় বুঁদ? কেটে যাবে মাত্র ৬ মিনিটেই, শুধু ফেরাতে হবে এই পুরনো অভ্যাস
ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজির ডেটা জানিয়েছে, নেপাল তিব্বত সীমান্তে জিজাং হল ভূমিকম্পের এপিসেন্টার (Epicenter)। সকাল ৬.৩৫-এ শুরু হয় কম্পন। তারপর এক ঘন্টার মধ্যে ৬ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে। নেপাল, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চিন এমনিতেই ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। বিজ্ঞানীরা বলেন, ভারতীয় পাতের সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের প্রবণতার ফলে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্প ঘটে এইসব অঞ্চলে।
কাঠমাণ্ডুর বাসিন্দা মীরা অধিকারী সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘আমি ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিছানাটা কাঁপতে শুরু করল। প্রথমে ভেবেছিলাম আমার ছেলে বিছানায় নড়াচড়া করছে। তাই অতটা খেয়াল করিনি। কিন্তু পরে যখন দেখলাম জানলাও থরথর করে কাঁপছে, তখনই বুঝতে পারলাম যে ভূমিকম্প হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে খোলা জায়গায় চলে আসি।’