উৎসস্থল শিলিগুড়ির দক্ষিণপশ্চিম! ভোররাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পশ্চিমবঙ্গ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাত সকালে কেঁপে উঠল বাংলার (West Bengal) মাটি। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৫ টা ৩৫ মিনিট। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজি জানিয়েছে, এই কম্পন অনুভূত হয় শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায়। উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর, মালদা জেলায় ভূমিকম্পের (Earthquake) তীব্রতা বোঝা যায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩।

সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের উৎস শিলিগুড়ির থেকে ১৪০ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে, বিহারের পূর্ণিয়ায়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি গভীরের এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। বিহারের এই কম্পন নেপাল ও বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে। সবথেকে বেশি কম্পন অনুভূত হয় বিহারের নেপাল সীমান্তের অদূরে অবস্থিত আরারিয়ায়।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (National Center for Seismology) অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৪.৩। ১২-০৪-২০২৩ তারিখে ভারতীয় সময়ে ৫:৩৫:১০-এ কম্পন অনুভূত হয়। অক্ষাংশ: ২৫.৯৮ এবং দ্রাঘিমাংশ: ৮৭.২৬-এ এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি। গভীরতা: ১০ কিমি। অবস্থান: শিলিগুড়ি থেকে ১৪০ কিমি দক্ষিণপশ্চিম।

যদিও ভূমিকম্পের কারণে কোন প্রাণ বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে আতঙ্কে বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে পড়েন। বুধবার সকাল সকাল অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে ২০১৫ সাথে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের কথা স্মরণ করেও কলকাতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। বিহারের ভাগলপুর, কাটিহার, কিষাণগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর