বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাড়ায় পাড়ায় ভ্যানে করে সবজি-মাছ বা অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা খুবই সাধারণ একটি ছবি। তবে পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) খণ্ডঘোষে ভ্যানে করে এবার বিক্রি করা হল বর! অবিশ্বাস্য এই কাণ্ডে হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। মাইক করে দাম হাঁকাও চলছে একই সাথে। ৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা, বিভিন্ন দামের বর উপলব্ধ রয়েছে এই ভ্যানে।
বিক্রেতা বলছেন কোনও ‘গ্যারান্টি’ নেই ৫০০ টাকার দামের বরের। খণ্ডঘোষের বোসপাড়া এলাকায় এই ঘটনাকে ঘিরে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বুড়ো শিবের গাজন উৎসব উপলক্ষে প্রতি বছর রঙ্গ তামাশার আয়োজন হয় সেখানে। তিন দিনের এই গাজনকে ঘিরে গোটা গ্রাম মেতে ওঠে উৎসবে। এবছর গাজন উপলক্ষেই এরকম বর ফেরির আয়োজন করা হয়।
আরোও পড়ুন : ‘ও সবে বিয়ে করে…’! হঠাৎ অগ্নিমিত্রার অজানা অতীত ‘ফাঁস’ করলেন জুন, জোর শোরগোল
মজা করে কেউ কেউ বললেন, ‘‘এ যেন একেবারে দুয়ারে বর পরিষেবা!’’ গাজনের পুরোহিত মন্মথ ভট্টাচার্য বলেন, খণ্ডঘোষের রায়পাড়া, ভট্টাচার্যপাড়া ও বোসপাড়া মিলিয়ে পুরোনো রীতি মেনে আয়োজন হয়ে আসছে ৩ দিনের বুড়ো শিবের গাজন। এই এলাকার ১০০-১৫০ জন সন্ন্যাস গ্রহণের পর অংশ নেন বুড়ো শিবের পুজোপাঠে।
আরোও পড়ুন : জুলাই থেকে আর মিলবে না এই পরিষেবা, খসবে বাড়তি টাকা, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় চাপে সরকারি কর্মীরা
সন্ন্যাসীরা এই অনুষ্ঠানে সং সেজে বিভিন্ন চরিত্র ও কাহিনী ফুটিয়ে তোলেন। সেই মতোই এবার কয়েকজনকে বর সাজানো হয়েছিল। পুরোহিতের কথায়, ‘‘অনেক দূর থেকে মানুষজন বুড়ো শিবের গাজনে ভিড় করেন। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো বুড়ো শিবের গাজন। নির্বাচনের জন্য এ বার গাজনের তারিখ একটু পিছিয়ে দিতে হয়েছে।’’
খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম জানান, ‘‘এই বুড়ো শিবের গাজন মানে গোটা এলাকার মানুষজন আসবে। উৎসবে মাতবে। এটাই দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে।’’ বর ফেরি করা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘মানুষ উৎসবে আনন্দ পান। মজাও লাগে। বর ফেরি অন্যতম আকর্ষণ। তাই সকলে তারিয়ে তারিয়ে গাজন উপভোগ করেন।’’