বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত বহুদিন ধরে আটকে রয়েছে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের (Tarakeswar-Bishnupur Railways Project) কাজ। মূলত পর্যটন এবং তীর্থক্ষেত্রকে এক করার উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প শুরু হয়। তবে জমিজটের জেরে বহুদিন যাবৎ আটকে ছিল এই কাজ। মাঝে সরকার এবং রেল কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে কাজ কিছুটা আগালেও ফের একবার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই রেললাইনটি যুগপুরুষ রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের জন্মস্থান কামারপুকুর এবং মা সারদা দেবীর জন্মস্থান জয়রামবাটির মত ঐতিহাসিক গ্রামের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে। এছাড়াও এই প্রকল্পটির আওতায় ভারতীয় রেল বড়গোপীনাথপুর, ময়নাপুর এবং গোকুলনগর-জয়পুর ইত্যাদি এলাকাতেও স্টপেজ দিতে চায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রয়াগরাজ, অযোধ্যা, কাটরা এবং খাজুরাহোর মতো দেশের অন্যান্য অংশের সফল নজির থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে, পূর্ব রেলওয়ে চাইছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলিকে এক সুতোয় বাঁধতে। এতে যেমন ঐতিহাসিক রোমাঞ্চ অনুভূত হবে তেমনই আর্থ সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে। এছাড়া তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর যাতায়াতের সময়ও কমবে অনেকটাই।
আরও পড়ুন : অপেক্ষার অবসান! বাজারে আসছে ৫ দরজার মাহিন্দ্রা ‘থার’, চমকে দেবে বৈশিষ্ট্য
উদাহরণস্বরূপ, বাসে গেলে হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর যেতে সময় লাগে ৫ ঘন্টারও বেশি। এতে খরচ হয় আনুমানিক ১৫০ টাকা। যেখানে একটি EMU ট্রেনে যেতে সময় লাগবে ২ ঘন্টার আশেপাশে। অর্থাৎ প্রায় ৩ ঘন্টা কম সময় লাগবে। এবং এতে খরচ হবে মাত্র ৩০ টাকা। খরচ কমে যাওয়ার কারণে পর্যটকরা আরও বেশি করে আকৃষ্ট হবে এবং এখানকার অর্থনীতিও মজবুত হবে।
আরও পড়ুন : হাতে সময় বড্ড কম, LPG আধার যাচাইয়ের ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিল কেন্দ্র
তবে ভবদিঘি পুকুর এলাকা এবং গোঘাট কামারপুকুরের অংশটুকু নিয়ে শুরু হয়েছে সমস্যা। যাকে ভবাদিঘির জট বলা হচ্ছে। এই এলাকার মানুষজন এখানকার জমি দিতে চাইছেনা। সূত্রের খবর, জমির দামদর নিয়ে শুরু হয়েছে বাকবিতণ্ডা। রেলের তরফে এই জট কাটানোর সম্পূর্ণ চেষ্টা করা হচ্ছে। এই জট কাটলেই জুড়ে যাবে গোটা প্রকল্প।