বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময় যত এগোচ্ছে তত যেন দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জীর (Santanu Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে ধরা পড়ার পর থেকেই শান্তনুর ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে একের পর এক অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠে আসছে। এবার শান্তনুর বিরুদ্ধে ১০০ দিনের সরকারি কাজের নাম করে গ্রামবাসীদের দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেওয়ার মত এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এলো।
এলাকার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের তরফে এমন গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, বলাগড়ে শান্তনুর রিসর্ট (Resort) সংলগ্ন বেশ কিছু জমি ঘেরার জন্যেই ১০০ দিনের সরকারি প্রকল্পের কাজের টাকা ব্যয় করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের কারও কারও অভিযোগ, শান্তনুর রিসর্টের কাজ করেও তাঁরা প্রাপ্য টাকা পাননি। রিসর্টের চারপাশে প্রায় দু’বিঘা জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ওই রিসর্টের জমির ভিতরেই ১০০ দিনের কাজের ফলক লাগানো রয়েছে। শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা কংগ্রেস নেতা বিশ্বনাথ মালিক ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের কাছে উল্লেখ করেছেন, ‘‘বছর দুয়েক আগে শান্তনু এই জমি নিয়েছিলেন। জমিতে ফলকও লাগানো হয়েছিল পাঁচিল তৈরির সময়েই। ১০০ দিনের কাজের টাকাতেই রিসর্টের চারদিকে ওই পাঁচিল তোলা হয়েছে।’’
বিশ্বনাথের কথায়, ‘‘ওদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সাহস কারও ছিল না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ওরা আমাকে মারধর করে। আমার এজেন্টকেও মেরে বুথ থেকে বার করে দেয়।’’ পাশাপাশি শান্তনু ও তার সঙ্গীরা যা আপনি অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন সেকথাও তিনি উল্লেখ করেন। প্রাক্তন প্রধান আরও জানান, সব জেনেশুনেও ‘প্রভাবশালী’ শান্তনু এবং তাঁর দলবলের ভয়ে তাঁকে চুপ করে থাকতে হয়েছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ খাতায়কলমে বলাগড়ের চাঁদড়া বটতলা এলাকার ওই রিসর্টের মালিক। তিনি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর এক্কেবারে ডান হাত ছিলেন বলা চলে। ইতিমধ্যেই, ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা আকাশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। আর তারপরেই শুরু হয় এই পাঁচিল সংক্রান্ত ১০০ দিনের কাজের টাকার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত।