বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক বড় অ্যাকশন নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ট তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mandal) হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই (CBI)। এবার এই তাপসের বিরুদ্ধেই বড় পদক্ষেপ নিল আদালত। সোমবার তাপস বাবুর ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করার জন্য চিঠি দিল তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)।
জানা গিয়েছে, ইডির এই চিঠিতে তাপস মণ্ডলের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট সহ তার কলেজ সংগঠন ও সংস্থার অ্যাকাউন্টও রয়েছে। সূত্রের খবর, এই কলেজ সংগঠন ও সংস্থার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই মানিক পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার সঙ্গে একাধিকবার অর্থ লেনদেন হয়েছে। এদিন তাপসের ব্যক্তিগত, কলেজ সংগঠন এবং সংস্থা এই তিন ক্যাটাগরির অ্যাকাউন্টে সব ধরণের লেনদেন বন্ধের জন্য চিঠি দিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
তাপস ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত খবর, প্রত্যেক ক্যাটিগোরির অন্তত দু’টি করে অ্যাকাউন্টে টাকা রয়েছে। যেগুলোতে লক্ষ লক্ষ টাকা রয়েছে। ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইতিমধ্যেই সেগুলির লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারী সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাপসের সঙ্গে মানিক পুত্রের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এই তাপসের নাম উঠে আসে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পর। সেইমত তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জনক বহু বার সিবিআই এবং ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয় তাপসকে। তবে তিনি প্রথম থেকেই এই মামলায় তদন্তকারীদের সাহায্য করছিলেন করে দাবি। এই তাপসের মুখেই উঠে আসে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গ।
কুন্তলের নাম উঠে আসতেই শুরু হয় তদন্ত। এরপরেই তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন হুগলির যুবনেতা তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। শুধু কুন্তলই না, জিজ্ঞাসাবাদে তাপসের মুখে উঠে আসে গোপাল দলপতি প্রসঙ্গও। এই তাপসকে জেরা করেই একে একে দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ ও পড়ে তাদের সূত্র ধরেছে গোপাল ও হৈমন্তীর প্রসঙ্গ উঠে আসে।