রহস্যভেদের পথে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা? ইডির হাতে কুন্তল-মানিকের ৪০ জন ‘এজেন্টে’র সন্ধান!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার রহস্যভেদ করতে আরও তৎপর ইডি (ED)। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয় যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তারপর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে। জানা গিয়েছিল, কিছু এজেন্টের মাধ‌্যমে কুন্তলের টাকা পৌঁছে যেত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) কাছে। তদন্ত করে এমন প্রায় ৪০ জন এজেন্টের সন্ধান মিলেছে বলে জানাল ইডি।

প্রসঙ্গত, আগে থেকেই এই এজেন্টদের (Agent) বিষয় স্পষ্ট ছিল তদন্তকারীদের কাছে। ইডির আগেও আরেক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) আদালতকে জানিয়েছিল নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই এজেন্টদের। এই এজেন্টরাই চাকরিপ্রার্থীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখত। তাদের কাছ থেকে টাকা তুলে পৌঁছে দিত কুন্তলের মত বড় অপরাধকারীদের কাছে।

শুধু তাই নয়, প্রার্থীদের ব্রেন ওয়াস এর পুরো দায়িত্ব ছিল এই এজেন্টদের। তারা চাকরিপ্রার্থীদের বোঝাত কিভাবে শুধুমাত্র টাকা দিলেই হাতে চাকরি চলে আসবে। এরপর তারা রাজি হলে কয়েক দফায় একেকজনের কাছ থেকে এজেন্টরা বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সেই টাকা পৌঁছে দিত প্রভাবশালীদের কাছে। বিনিময়ে টাকার একটা কমিশন তাদের পকেটে ঢুকত।

তদন্তকারীদের দাবি, দুর্নীতি মামলায় ধৃত ব‌্যক্তি ও সাক্ষীদের জেরা করে এবং বৈদ্যুতিন রেকর্ড খতিয়ে দেখে ওই এজেন্টদের সম্পর্কে সিবিআই নিশ্চিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট প্রসন্ন রায় ও তার সঙ্গী প্রদীপ সিং। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি সিবিআই এর।

ed

প্রসঙ্গত, হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের পরই এই এজেন্টদের বিষয়টি প্রকটভাবে সামনে আসে। কুন্তল ঘোষকে জেরার পর গোয়েন্দারা একেবারে নিশ্চিত হন যে, ধৃত মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কুন্তলের সরাসরি যোগাযোগ ছিল না। যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এক এজেন্ট। তারাই কুন্তলের টাকা পৌঁছে দিত মানিকের কাছে। পাশাপাশি তদন্তকারীদের দাবি, তাপসের কাছ থেকেও মানিকের এজেন্টরা টাকা নিয়ে তার কাছে পৌঁছে দিত।

এরপরই তদন্ত করে এসব এজেন্টদের শনাক্ত করে ইডি। সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রেই খবর, বিভিন্ন জেলায় এই রকম এজেন্টদের সংখ্যা প্রায় ৪০ জন। যারা মিডিল ম্যান হয়ে কাজ চালিয়ে যেত। আবার এজেন্টদের কথা মত কাজ করত বহু সাব এজেন্টও। তাদের নামের তালিকাও ইডির হাতে। সূত্রের খবর, প্রয়োজন মত দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে জিজ্ঞাসাবাদ কড়া হতে পারে এদেরও।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর