বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে প্রতারণার অভিযোগে বসিরহাটের সাংসদ নুসরতের কাছে শমন পাঠিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ টার মধ্যে তাকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তলব করা হয়েছে সংস্থার আরেক ডিরেক্টর রাকেশ সিং কেও। প্রাথমিকভাবে ইডির ধারণা, নুসরতকে জেরা করার প্রয়োজন আছে।
যদিও নুসরতের দাবি, এরকম কোনও নোটিশ এসেছে কি না তিনি জানেননা। এইদিন বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয় একটি বৈঠকে নুসরত উপস্থিত হলে তাকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়। সংক্ষিপ্ত কথায় তিনি বলেন, ‘‘আমি সকাল থেকে প্রচুর কাজে ব্যস্ত। নোটিস এসেছে কি না অবশ্যই দেখব। ইডি ডাকলে অবশ্যই যাব। তদন্তে সহযোগিতা করা আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নুসরত যে সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন, সেই ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ ব্যাঙ্ক কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, অবসরপ্রাপ্ত ঐ কর্মীরা দু-কামরার ফ্ল্যাটের জন্য অগ্রীম টাকাও জমা করেছিল। প্রায় ৫০০ জনের থেকে টাকা তোলা হয়েছিল বলে খবর। প্রাথমিকভাবে খবর, সেই ফ্ল্যাট তো তৈরি হয়নি উল্টে তাদের টাকাও ফেঁসে আছে।
আরও পড়ুন : ‘তিনটে বিয়ের গল্প না থাকলে …’, TRP কমতেই দর্শকদের উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সোনালি
নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতারণার টাকায় তিনি পাম অ্যাভিনিউয়ের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। প্রতারিতরা প্রথমে গড়িয়া থানায় এবং পরে আলিপুর আদালতে গিয়ে মামলা ফাইল করেন। আদালত দু’বার নুসরতকে ডেকে পাঠালেও তিনি নাকি হাজিরা দেননি। এরপরেই বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা ঐ বয়স্ক প্রতারিতদের নিয়ে গড়িয়াহাট থানা এবং সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন : মাত্র ৫ মাসেই শেষ! বন্ধের মুখে জি বাংলার এই জনপ্রিয় সিরিয়াল, রইল শেষ সম্প্রচারের দিনক্ষণ
এরপরেই ইডির শমন পৌঁছায় নুসরত জাহানের কাছে। এই ঘটনার পরেই একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নুসরাত জাহান বলেন, তিনি অনেক আগেই নাকি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ছেড়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, তিনি ১কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার লোন নিয়েছিলেন। এরপর তিনি সেই লোন সুদ শোধ-ও করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ‘জীবনে পাওয়া শ্রেষ্ঠ…’, শিক্ষক দিবসে কাঞ্চনকে নিয়ে বিশেষ পোস্ট শ্রীময়ীর! কটাক্ষের ঝড় নেটপাড়ায়
সাংসদের এই বক্তব্যের পরেই নুসরতকে প্রশ্ন করা হয় যে, তিনি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ না নিয়ে কেন একটি কোম্পানির তরফ থেকে ঋণ নিলেন? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর নাকি দেননি তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। উল্টে তিনি সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি সংস্থার আরেক ডিরেক্টর রাকেশ সিং-ও নুসরতের এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। এখন এই জল কতদূর গড়ায় সেটা তো সময়ই বলবে।