বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবার কলেজের ভেতর ছাত্রীকে গণধর্ষণ (Kasba Rape Incident)। এই ঘটনার পর ফের একবার প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে শহরের নারী নিরাপত্তা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও কি সুরক্ষিত নন নারীরা? দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন। এবার কসবা কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ নিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। জানালেন, এই ঘটনায় তিনি ‘হতবাক’, ‘ব্যথিত’।
কসবা কাণ্ডে কী পদক্ষেপ ব্রাত্যর (Bratya Basu)?
শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী একটি বিবৃতিতে জানান, ‘আমি ব্যথিত, আমি হতবাক। কলেজ চত্বরে এই প্রকারের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না’। এই ঘটনার পর গভর্নিং বডির জরুরি বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার সেই বৈঠক হবে বলে খবর। সেই সঙ্গেই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছেন ব্রাত্য।
কলেজ চত্বরের মধ্যে ধর্ষণের (Rape) মতো ঘটনা! এই রকম গাফিলতি কীভাবে ঘটল, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দরকার হলে বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করার বিষয়টিও আলোচনা করতে বলা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ বকেয়া DA আদায়ে নয়া পদক্ষেপ সরকারি কর্মীদের! বিরাট ঘোষণা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের
অন্যদিকে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করা হল। এর ফলে এই ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪।
ইতিমধ্যেই কসবা কাণ্ডে রাজনীতির ছোঁয়া লেগেছে। মূল অভিযুক্তের তৃণমূল (Trinamool Congress) যোগের কথা সামনে আসতেই সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। কেউ কেউ আবার এই ঘটনায় আরজি কর কাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। গত বছর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছিলেন এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়া। এবার সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজে গণধর্ষণের শিকার হলেন এক আইনের ছাত্রী।
কলেজ চত্বরের মধ্যে এই নারকীয় ঘটনা ঘটায় ‘হতবাক’, ‘ব্যথিত’ বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই সঙ্গেই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছেন ব্রাত্য (Bratya Basu)। এছাড়া গভর্নিং বডির জরুরি বৈঠক ডাকার নির্দেশও প্রদান করা হয়েছে।