বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক মাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি ( Recruitment Scam) ইস্যুতে জেরবার রাজ্য সরকার। চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন-অনশন, মামলা, বিরোধ সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে প্রায় ৬ বছর পর প্রাথমিকের টেট (Primary TET) পরীক্ষা নিচ্ছে পর্ষদ। এমন পরিস্থিতিতে হাজার ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও নির্বিঘ্নেই কাটলো প্রাথমিক টেট পরীক্ষা, গর্ব সহকারে এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ।
এবারের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লক্ষ পার। পর্ষদের কড়া নজরদারির ও নিরাপত্তার ব্যবস্থার মধ্যে পরীক্ষা হতে চলেছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তা সত্ত্বেও টেট পরীক্ষা বানচাল করার চেষ্টা হতে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন সভাপতি। আশঙ্কাকে সত্যি করে পরীক্ষার দিন সোশ্যাল মিডিয়া রমরম করেছিল কয়েকটি প্রশ্নপত্র। যার সাথেই রয়েছে উত্তরও। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পরে যায় নেট মহলে। দাবি করা হচ্ছিল, টেট প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।
ঘটনা চাওর হতেই বিষয়ের কড়া তদন্তে নামে পর্ষদ। পরে পুলিশ ও সাইবার সেলকে খবর দেওয়া হলে তারা প্রশ্নপত্র যাচাই করে দেখেন পুরোটাই ভুয়ো। এই বিষয়েই মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যাতে সুষ্ঠুভাবে টেট নিতে না পারে, পরীক্ষা বানচাল করা যায়, তার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। বিরোধীরা বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কড়াহাতে পর্ষদ সেই বিপত্তি এড়িয়ে পরীক্ষা নিল। এখনও পর্ষন্ত নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা।” তীক্ষ্ম কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নজরদারির সাথে সাথে স্পর্শকাতর জেলায়, পরীক্ষাকেন্দ্রে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রিত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
পরীক্ষার দিন সকাল থেকে নিজ দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এদিন হাজির রয়েছেন তিনি। সাথেই তিনি এও বলেন পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায় নজর রাখছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল, টাকার বিনিময়ে নাকি আগাম বিক্রি হচ্ছে টেটের প্রশ্নপত্র। তবে বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ কার্যত তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানালেন “নির্বিঘ্নেই কেটেছে টেট “।