বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ চরমে ওঠার পর ভোট ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন প্রযুক্তি চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কর্ণাটকের আলান্দ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের নাম গণহারে মুছে ফেলার জন্য কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি আবেদন দাখিল করার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর সূত্রের।
ভোটার আইডির অপব্যবহার রোধে নতুন প্রযুক্তি আনল কমিশন (Election Commission)
জানা যাচ্ছে নতুন প্রযুক্তি ভোটার আইডির অপব্যবহার রোধ করবে। কমিশন (Election Commission) Sutre খবর এবার ই-সাইন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোটারদের রেজিস্ট্রেশন, নাম মুছে ফেলা বা সংশোধনের জন্য আবেদন করার সময় তাদের আধার লিঙ্কযুক্ত ফোন নম্বর ব্যবহার করে পরিচয় যাচাই করতে হবে। আগে এই যাচাই ছাড়া ফর্ম জমা দেওয়া যেত, যা ভোটার তথ্য অপব্যবহারের ঝুঁকি তৈরি করত।
নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ECINET পোর্টাল এবং অ্যাপে একটি নতুন ‘ই-সাইন’ বৈশিষ্ট্য চালু করেছে। এর অধীনে, যখন কেউ ফর্ম 6 (নতুন রেজিস্ট্রেশন), ফর্ম 7 (নাম মুছে ফেলা) বা ফর্ম 8 (সংশোধনের জন্য) পূরণ করবেন, তখন তাকে ই-সাইন যাচাই সম্পন্ন করতে হবে। পোর্টালটি আবেদনকারীকে সতর্ক করবে যে ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড সংযুক্ত আছে কিনা, তবে নাম একই হতে হবে এবং আধার ও ফোন নম্বর অবশ্যই লিঙ্কড থাকতে হবে।
আবেদনকারীকে একটি বহিরাগত ই-সাইন পোর্টালে পাঠানো হবে, যেখানে তার আধার নম্বর দিতে হবে। এরপর আধারের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নম্বরে একটি OTP পাঠানো হবে। OTP পূরণ এবং সম্মতি প্রদানের পরই যাচাই সম্পন্ন হবে। এরপর আবেদনকারী ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য ECINET পোর্টালে ফেরত আসবেন। এই প্রক্রিয়া জাল আবেদন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুনঃ টাকা তোলায় আর বাধা নয়! কর্মচারীদের স্বার্থে EPFO-র নিয়মে বড় বদল আনল কেন্দ্র
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধি ১৮ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, আলান্দ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৬ হাজার ভোটারের নাম অনলাইনে মুছে ফেলার আবেদন করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রকৃত ভোটারদের পরিচয়পত্রের অপব্যবহার করা হয়েছে। যাদের নামে ফর্ম জমা দেওয়া হয়েছিল , সেই ফর্মে ব্যবহৃত ফোন নম্বর সেই ভোটারদের সঙ্গে যুক্ত ছিল না বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে ভোটারদের তথ্য অপব্যবহারের একটা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছিল। এই সমস্যার সমাধান করতেই কমিশনের এই নতুন পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) এই নতুন পদক্ষেপ ভোটার তালিকা নিরাপদ ও স্বচ্ছ রাখার দিকে বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।