বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ এনে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। ওয়েবকাস্টিংয়ের ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে লিখেছিলেন, নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের সোনাচূড়া অঞ্চলের ২৭৯ নং গঙ্গা বাসুলি প্রাইমারি স্কুলে অবাধে ছাপ্পা ভোট হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, সেই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। এবার নেওয়া হল বিরাট পদক্ষেপ।
এদিন দেবাংশু নিজের সমাজমাধ্যম প্রোফাইলে ওয়েবকাস্টিংয়ের ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। কিন্তু বুথের ভেতরের ভিডিও ফুটেজ তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর হাতে কীভাবে গেল? এখন দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখন এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর, সিইও-র দফতর ও জেলায় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেলাশাসকের দফতর থেকে ওয়েবকাস্টিং নিয়ন্ত্রিত হয়। সেসব জায়গায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ। সেই সঙ্গেই ওয়েবকাস্টিং রুমে ঢুকে ভিডিও খুঁজে বের করতে গেলে পাসওয়ার্ড লাগে। সেই পাসওয়ার্ড যে সকল আধিকারিকরা দায়িত্বে থাকে তাঁদের আছে মূলত রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন উঠছে, দেবাংশু সেই ফুটেজ কীভাবে পেলেন?
আরও পড়ুনঃ ‘পায়ে না ধরলে…’! তৃণমূল বিধায়কের ওপর খচে লাল মমতা, ভোটের মধ্যেই সম্পর্ক ছেদ
সিইও দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেখান থেকে এই ফুটেজ ‘ফাঁস’ হয়নি। ভিডিওটি জেলাশাসকের দফতর থেকে বেরিয়ে থাকতে পারে। যদি সত্যিই এমনটা হয়, তাহলে এই বিষয়টি বেশ গুরুতর। কারণ এটি ‘সার্ভিস রুল’ অবমাননার শামিল। এর পিছনে কে অথবা কারা রয়েছেন সেটাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছুসময় পরেই দেবাংশু নিজের সমাজমাধ্যম প্রোফাইলে একটি ভিডিও শেয়ার করেন (সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট)। সেখানে ভোটগ্রহণের বুথের ছবি দেখা যাচ্ছে। সেই ভিডিও শেয়ার করে তৃণমূল প্রার্থী ক্যাপশনে লেখেন, ‘নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া অঞ্চলের ২৭৯ নম্বর গঙ্গা বাসুলি প্রাইমারি স্কুলে অবাধ ছাপ্পা দিচ্ছে বিজেপি! শুভেন্দুবাবু, লজ্জা করুন একটু…’। যদিও দেবাংশুর এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ওই নির্দিষ্ট বুথে ভিভিপ্যাট খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে তা পরিবর্তন করা হচ্ছিল। সেই কারণেই ভিড় হয়েছিল।