বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের (Pakistan) সরকার গড়নে দীর্ঘ অচলাবস্থা দেখা যায়। কিন্তু সমস্ত কিছুর পর শেহবাজ শরীফের (Shehbaz Sharif) নেতৃত্বে একটি জোট সরকার আবারও ক্ষমতায় আসে। গত 3 মার্চ রবিবার পাকিস্তানের অ্যাসেম্বলিতে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছিলেন শেহবাজ শরীফ। কিন্তু এর পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি পদে বসাতে হয় আসিফ আলী জারদারিকে।
মোট 201টি ভোট আসে শেহবাজ শরীফের পক্ষে। তার বিপরীতে ইমরান খানের PTI পায় মাত্র 92টি ভোট। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা যদিও কেও পায়নি তবে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে ইমরান খানের দল PTI এর খাতায়। কিন্তু এরপর জোট করে ক্ষমতায় পুনরায় বিরাজমান হন শেহবাজ শরীফ। আর দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাথে সাথে শরীফ পুরনো সুর গাইতে শুরু করেন। বিশেষ করে গাজা ও কাশ্মীর (Kashmir ) নিয়ে একই সুর বজায় রয়েছে তার।
ক্ষমতায় বসে গাজা এবং কাশ্মীর নিয়ে কান্না জুড়ে দিলেও খুব বেশিক্ষণ সেই সুর বজায় থাকেনি। অল্পক্ষণের মধ্যেই বাস্তবের মাটিতে ফিরে এসে তিনি বলেন যে, এদেশের (পাকিস্তান) অ্যাসেম্বলি (পাকিস্তানের সংসদ) চলছে ভিক্ষার অর্থ, ঋণের টাকায় । এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শেহবাজ শরীফ সেদেশের লোকসভায় দাঁড়িয়ে বলেন যে, তার দলের লক্ষ্য পাকিস্তানের অবস্থার পরিবর্তন করা।
আরও পড়ুন : ‘ভীষণই খারাপ লাগে…’, বেফাঁস মন্তব্যের জন্য ট্রোলিং! টার্গেট হলে কষ্ট পান মমতা, জানালেন নিজেই
যদিও সেখানে দাঁড়িয়ে শেহবাজ শরীফ বলেন যে, তার লক্ষ্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নত করা কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে সুর চড়াতেও বেশি দেরী করেননি তিনি। শাহবাজ শরীফ বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং কাশ্মীরি ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্য জাতীয় পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস করি।’ তবে এরপর শেহবাজ শরীফ এমন কিছু বলেন যা কোনো প্রধানমন্ত্রীই বলেননি।
আরও পড়ুন : হামলা? ভোটের মুখে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে সুকান্ত মজুমদার! দুমড়ে মুচড়ে গেল গাড়ি
শাহবাজ শরীফ উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ গত কয়েক বছর ধরেই চলছে ঋণের টাকায়। আর এর কারণ সরকারের কাছে টাকা নেই। বিদেশ থেকে আসা টাকা দিয়ে আমাদের দেশ চালাতে হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, গত বছরই IMF এর থেকে মোট 3 বিলিয়ন ডলারের ঋণ পায় পাকিস্তান।
এদিকে সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান IMF কে চিঠি লিখে সমস্ত অর্থের হিসেব নিতে আবেদন করেন। তার যুক্তি ছিল পাকিস্তানের সরকার সেই অর্থ দেশ চালানোর পরিবর্তে খরচ করেছে সাধারন নির্বাচনে। এখন দেখার এই সরকার কি তাদের পুরো মেয়াদ খতম করতে সক্ষম হয়, নাকি ইমরান খানের সরকারের মত মাঝসময়ই গদিচ্যুত হয়।