বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের জীবন কার্যত অচল। ফ্যান, লাইট থেকে শুরু করে টিভি, ফ্রিজ, সবকিছু চালাতেই দরকার হয় ইলেকট্রিক। এদিকে বিদ্যুতের ব্যবহার যত বেশি হয় ততই চড়চড় করে বাড়তে থাকে ইলেকট্রিক বিল (Electric Bill)। এবার শোনা যাচ্ছে, বিদ্যুৎ বণ্টন সম্বন্ধিত একটি নতুন নিয়ম আনতে চলেছে সরকার।
বিদ্যুৎ বণ্টন নিয়ে কোন পদক্ষেপের পথে সরকার (Electric Bill)?
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রায়ই নানান খবর চাউর হতে শোনা যায়। এদিকে ইলেকট্রিক বিল বাড়লে পকেটে চাপ পড়বে, একথা ভেবে চিন্তায় পড়েন অনেকে। এসবের মাঝেই শোনা যাচ্ছে, বিদ্যুৎ বণ্টন সম্বন্ধিত নতুন নিয়ম আনতে চলেছে সরকার। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করতে সরকার এই কৌশল অবলম্বন করছে বলে দাবি অনেকে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিরোধিতা।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ রাজ্য বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিষদ বিদ্যুতের প্রাপ্যতা ও সরবরাহ সম্বন্ধিত পরিকল্পনা কাঠামো সম্বন্ধিত প্রস্তাবিত আইনের ব্যাপক বিরোধিতা শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে এই পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গত বিধবার বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে আয়োজিত গণশুনানিতে দাবি, বিদ্যুতের দাম (Electricity Price) বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে সরকার এটিকে প্রণয়ন করতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ সুরক্ষিত থাকবে সব মেয়ে! আরজি কর কাণ্ডের পরেই বড় পদক্ষেপ, নয়া প্রকল্প ঘোষণা রাজ্যের!
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিরোধিতা। সেই কারণে এই আইন বাস্তবায়িত করতে পাওয়ার কর্পোরেশন ২ বছর সময় চেয়েছে। উল্লেখ্য, এখন দেশে ৪.৪১ লক্ষ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হয়। তবে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২.২৭ লক্ষ মেগাওয়াট। বেসরকার সংস্থাগুলিকে সুবিধা দেওয়ার জন্যে সরকার এই আইন আনতে চায় বলে দাবি।
পরিষদের কথায়, এই আইনের অধীন গ্রাহকদের কমপক্ষে ১ বছর আগে ইলেকট্রিকের (Electric Bill) চাহিদা মূল্যায়ন করতে ও সংস্থাগুলির সঙ্গে ইলেকট্রিক কেনার চুক্তি করতে হবে। এবার যদি কোনও কারণ বশত বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি না পায়, তাহলেও চুক্তি অনুসারে পূর্ব নির্ধারিত হারেই বিদ্যুৎ কিনতে হবে।