চীনের মহাকাশ প্রকল্পে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন ইলন মাস্ক, তিয়ানগং স্পেস স্টেশনকে করেই দিচ্ছিলেন ধ্বংস

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পৃথিবী (Earth) থেকে মহাকাশে (Space) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করা চীনকে (China) তাঁদের একটি স্পেস স্টেশন বাঁচাতে আমেরিকার (United State) কাছে আবেদন জানাতে হয়েছে। তাও আবার এমন একটি সমস্যার জন্য, যা পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক (Elon Musk) তাঁদের জন্য তৈরি করেছেন। আসলে, কয়েকদিন আগে চীন অভিযোগ করেছিল যে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের (SpaceX) উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইট তাদের স্পেস স্টেশনে আঘাত করতে চলেছিল। এই সংঘর্ষ এড়াতে তাঁদের স্পেস স্টেশনের অবস্থান পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এ বিষয়ে চীন আমেরিকার কাছে আবেদন করেছে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের মিশন নিরাপদ থাকে।

চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার অভিযোগ করেছে যে, আমেরিকা তিয়ানগং স্পেস স্টেশন এবং সেখানে থাকা তিন ক্রু সদস্যকে রক্ষা করার একটি চুক্তি উপেক্ষা করেছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না হয়, সেদিকে নজর রেখে যুক্তরাষ্ট্রের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “১৯৬৭ সালে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের চুক্তির অধীনে মহাকাশচারীদের নিরাপত্তার খেয়াল রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব। কিন্তু আমেরিকা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।”

চীনের তিয়ানগং স্পেস স্টেশন ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। এমতাবস্থায় চীন চায় না এই প্রকল্পের গাম্ভীর্যের সঙ্গে কোনো আপোষ হোক। তিয়ানগং এপ্রিলে লঞ্চ হয়েছিল। তার ক্রু’রা ৯০ দিনের মিশন শেষ করে সেপ্টেম্বরে পৃথিবীতে ফিরে আসেন, এরপর দ্বিতীয় ক্রু ১৬ অক্টোবর ছয় মাসের মিশনে মহাকাশে রওনা হয়।

china space

ইলন মাস্কের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট পরিসেবা চালু করা। এ জন্য তিনি তাঁর কোম্পানি স্পেসএক্সের মাধ্যমে স্টারলিংক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ শুরু করেছেন। শোনা যাচ্ছে যে, পুরো বিশ্বকে তাঁর কোম্পানির ইন্টারনেটের আওতায় আনতে ইলন মহাকাশে দুই হাজার স্যাটেলাইট পাঠাবেন। সেই ক্রমেই, ১৮ ডিসেম্বর স্পেসএক্স দ্বারা ৩৪তম উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যেখানে ৫২টি উপগ্রহকে একই সাথে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর