বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্র ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসংখ্যার নিরিখে শীঘ্রই চিনকে ছাপিয়ে যেতে পারে আমাদের দেশ। বিপুল জনসংখ্যা হওয়ায় এ দেশে বসবাসের রয়েছে। উপযুক্ত থাকার জায়গার অভাবে তাই বহু মানুষেরই বসবাসযোগ্য পাকা বাড়ি নেই। তার উপর বিভিন্ন সরকার এঁদের পুনর্বাসন দিতে ব্যর্থ।
এছাড়াও কাজের খোঁজে সারা বছরে জনসংখ্যার একটি ভাগ শহরে আসে। এই ভাগের অনেকটাই দরিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী। তাই শহরে এসে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সামর্থ এঁদের থাকে না। এদিকে শহরে জায়গার অভাব। তাই তাঁরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় জমি জবরদখল (Enroachment Problem) করে বসতি বানিয়ে থাকতে শুরু করেন।
জবরদখলের অন্যতম জায়গা হিসেবে তাঁরা বেছে নেন রেল লাইনের ধারের জমি। রেল লাইনের ধারে এই বসতি গড়ে ওঠার ফলে বিঘ্ন ঘটে ট্রেন চলাচলের গতিতে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মরিয়া ভারতীয় রেল। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের হলদ্বানিতে রেললাইনের ধারে বসতি উচ্ছেদ অভিযান চালানোর জন্য হাই কোর্টের দারস্থ হয় রেল। কিন্তু আদালত জানিয়ে দেয়, ২৯ একড় জমি থেকে রাতারাতি উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টও হাই কোর্টের রায় তুলে ধরে একই কথা জানিয়ে দিল। শীর্ষ আদালতের মতে, রাতারাতি এ ভাবে ৫০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে শীতের মরসুমে স্বস্তি পেলেন অসংখ্য মানুষ। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, রেলের মোট ৮১৪ হেক্টর জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে। এর অধিকাংশই রেল ও মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে। কেন্দ্র জানিয়েছে, রেলের তরফে নিয়মিত এই বসতিগুলি চিহ্নিত করে উচ্ছেদ করে দেয়।
এই বসতিগুলি যদি অস্থায়ী হয়, তাহলে রেল পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলে এগুলি উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এগুলি পুরোনো হলে রাজ্য সরকার ও পুলিশের সাহায্য নেওয়া হয়। গত ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালের রিপোর্টে সরকার জানিয়েছিল, ১৬.৬৮ হেক্টর জমি থেকে জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাশাপাশি, রেলের হাতে ২৪ হেক্টর জমি তুলে দেওয়া হয়েছে। এক বছর আগে একটি মামলা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, নিজেদের জমি জবরদখল মুক্ত রাখার দায়িত্ব রেলের।