বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিজেদের হেফাজতে নিতে তৎপর ইডি (Enforcement Directorate)। ইতিমধ্যেই উক্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। গত শনিবার বসিরহাট সংশোধনাগারে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেন ইডি আধিকারিকরা। সোম সকালে সন্দেশখালির এই নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, আজ বিকেলের মধ্যে শেখ শাহজাহানকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার বিশেষ ইডি আদালত। উল্লেখ্য, শনিবার বসিরহাট আদালতের কাছে শাহজাহানকে জেলে গিয়ে জেরা করার আবেদন চেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালত সেই অনুমতি দেওয়ার পর জেলে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জেরা করেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ‘বেতাজ বাদশা’র বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডির অভিযোগ, দেশের সরকারি টাকা তছরুপ করে বিদেশে পাচারের মামলায় ইতিমধ্যেই প্রায় ৩১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই হদিশ মিলেছে আরও প্রায় ১৩ কোটি টাকার।
আরও পড়ুনঃ রাজা ভেবে ভুল মূর্তিতে মালা পড়ালেন দিলীপ ঘোষ, তারপর যা হল…! চাঞ্চল্যকর ঘটনা বর্ধমানে!
জেলে গিয়ে এই বিষয়ে শাহজাহানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল বলে খবর। তবে তিনি কোনও সদুত্তর দেননি। বরং এই বিষয়ক প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন। সেই কারণে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, সোমবার বিশেষ ইডি আদালতের কাছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন গোয়েন্দারা। আর এই কারণেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তবে উত্তেজিত জনতার হামলার মুখে পড়ে সেখান থেকে তাঁদের পালাতে হয়। হামলার এই ঘটনার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
ইডি পেটানোর এই ঘটনার পর প্রায় মাস দুয়েক গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন শাহজাহান। বারবার আশ্রয় বদল করে ‘লুকিয়ে’ ছিলেন তিনি। অবশেষে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে মিনাখাঁ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহানের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এবার তাঁকে হেফাজতে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি।