নেপথ্যে কোনও বড় নেতা? কামারহাটি পুরসভার কোটিপতি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা, ED-র হাতে বড় তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের রাজ্যে ইডির (Enforcement Directorate) হানা। টাকার পাহাড়ের মাঝে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকার গয়না। এবার ইডির ঘেরাটোপে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চিফ ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত। মাত্র ৬ বছর আগে চাকরি পাওয়া একজন ইঞ্জিনিয়ারের এইরকম বিপুল সম্পত্তি, বৈভব কীভাবে হল, তার আয়ের উৎস কী, এই সবেরই পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর চায় ED।

বছর শেষে বড়দিনের দিন সাতসকালে কামারহাটিতে তমাল দত্তের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডির আধিকারিকরা। সেখানেই দিনভর খানাতল্লাশির পর উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ। নগদ টাকা তো উদ্ধার হয়েছেই সেই সাথে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অলঙ্কারও। কেন্দ্রীয় এজেন্সির রিপোর্টে দাবি, ২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভায় অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিয়েছিলেন তমাল দত্ত। পুর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা ছিল তার।

কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে তার। তার নাম উঠে আসার পর থেকেই ইডির নজর ছিল তমাল দত্তের উপর‌। এর আগে গত ৫ অক্টোবরও একবার তমাল দত্তের বাগুইহাটির ফ্ল্যাটে খানাতল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই সময় প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা নগর এবং ১ কোটি ৬৩ লক্ষ মূল্যের হিরে ও সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। একবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।

আরও পড়ুন : ধোপে টিকবে না জোট! এখনই লোকসভা ভোট হলে বাংলায় এতগুলি আসন পাবে BJP, চাপে তৃণমূল

নগদ টাকা এবং গয়নার পাশাপাশি ১৩০০ পৃষ্ঠার নথীও উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তমাল দত্তের কর্মজীবনের কথা বললে, তার চাকরিজীবন শুরু হয় ২০১৬ সালে। মাঝের এই ৬ বছরে অদ্ভুতভাবে সম্পদ বৃদ্ধি হয়েছে তমালের। এত কম সময়ে এই বিপুল সম্পদ, প্রতিপত্তি, বৈভব এল কোথা থেকে সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর