ফাঁড়া কাটেনি! ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ED-র হাতে উঠে এল ভয়ানক তথ্য, বিপদে মহানায়িকা নুসরত

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফ্ল্যাট প্রতারণা (Flat Scam) মামলায় তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) নাম জড়াতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সাংসদ অভিনেত্রী নিজের স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে একাধিক নতুন তথ্য। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সংস্থা সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি থেকে নিয়মিত ভাতা তুলতেন বসিরহাটের সাংসদ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই খবর পাওয়া গেছিল টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হয়েছে রাজ্যের কিছু অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সাথে। আর এই অভিযোগের তির উঠেছে অভিনেত্রী নুসরত এবং সংস্থার ২ ডিরেক্টর রাকেশ সিং এবং অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রর উপর। সেই সূত্রেই গত মঙ্গলবার প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বসিরহাটের সাংসদকে।

আর সেই তদন্ত করতে গিয়েই সংস্থাটির নিয়োগপত্র খতিয়ে দেখতে ইডি। জানা গেছে, সংস্থাটি নাকি নিয়মিত ভাতা দিত নুসরতকে। এর আগেও বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা দাবি করেছিলেন, নুসরত এই সংস্থার সাথে সরাসরি জড়িত আছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি অনেকদিন আগেই কোম্পানি ছেড়ে দিয়েছেন। জানিয়েছিলেন, তিনি শুধুই ঋণ নিয়েছিলেন সংস্থা থেকে।

আরও পড়ুন : ‘আমাকে আর দেখতে পাবিনা’, বন্ধ হচ্ছে স্মার্ট দিদির হোটেল? হাহুতাশ নন্দিনীর

সাংসদ অভিনেত্রী বলেন, তিনি এ কোম্পানি থেকে মোট ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার লোন তুলেছিলেন। এরপর সেই টাকা কড়ায় গণ্ডায় শোধ-ও করে দেন তিনি। তারপর থেকেই নাকি সংস্থার সাথে সমস্ত যোগাযোগ তিনি বন্ধ করে দেন। এদিকে সংস্থার অন্যতম প্রধান ডিরেক্টর রাকেশ সিং জানান, নুসরত কোনও ঋণ নেননি।

আরও পড়ুন : দুবাইতে ২০০ কোটির বিয়ের ভোজ! নুসরত ছাড়াও ইডির নজরে আরও ১৪ তারকা, তালিকায় কারা?

d92a37a997c079eca00b5845e4f6502e original

এসবের মাঝেই তদন্ত শুরু করে কর্মকর্তারা জানতে পারেন, ওই রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর পদেই ছিলেন অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। এরপর ভাতার বিষয়টি সামনে আসতেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ঠিক কী কারণে নিয়মিত ভাতা তুলতেন নায়িকা? বিষয়টা নিয়ে বিশদে জানতে আবারও নুসরতকে সমন পাঠাবেন ইডি? শুরু হয়েছে জল্পনা।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর