বাংলা হান্ট ডেস্ক : রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) মামলায় ফের তৎপর হয়ে উঠল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকাল সকাল শহরের একাধিক জায়গায় খানা তল্লাশি শুরু করেছে সংস্থাটি। সূত্রের খবর, শঙ্কর আঢ্যের (Sankar Adhya) পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় উঠে আসছে বনগাঁর বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাসের নাম। এইদিন তারই সল্টলেকের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে পৌঁছায় ইডি আধিকারিকরা। এছাড়াও আরও কয়েকটি জায়গায় শুরু হয়েছে রেইড। বন্দর, বাগুইআটি এলাকারও কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মুড়ে ফেলেছে গোটা এলাকা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে বাকিবুরের খোঁজ পান ইডি কর্তারা। তার গ্রেফতারির পর উঠে আসে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম। তদন্ত যত এগোতে থাকে তত বাড়তে থাকে দুর্নীতির জট। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর আরও দুই তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্য ও শেখ শাহজাহানের যোগসূত্র খুঁজে পায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন : বৃষ্টি-বজ্রপাতের সঙ্গে ভয়ঙ্কর দমকা হাওয়া, সরস্বতী পুজোয় ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ! IMD-র ভয়ঙ্কর রিপোর্ট
তারমধ্যে শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করা গেলেও শেখ শাহজাহান আজও ফেরার। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে শঙ্কর আঢ্য এখন রয়েছে ইডি হেফাজতে। দফায় দফায় চলছে জেরা। জেরা চলছে তার পরিবারের সদস্যদেরও। আর এবার সেখান থেকেই উঠে এল বিশ্বজিৎ দাসের নাম।
আরও পড়ুন : সন্দেশখালির ঘটনায় চুপ অপর্না, কৌশিকরা! ‘কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা নির্লজ্জ’, বলছে অপর বিশিষ্ট মহল
এর আগেই খবর মিলেছিল, মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ হয়ে সোনার বিস্কুট এসে পৌঁছাত উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও তার আশপাশের অঞ্চলে। মূলত শঙ্কর আঢ্যই পুরো বিষয়টার পরিচালনা করতেন। বনগাঁ থেকে মূলত সড়কপথেই এই সোনা পৌঁছে যেত কলকাতা এবং তার আশেপাশের এলাকায়। শঙ্করের এক আত্মীয়ের নামও উঠে আসছে এই ঘটনায়। আর আজ শঙ্করের সেইসব সতীর্থের খোঁজে সকাল সকাল মাঠে নেমে পড়েছে ইডি কর্তারা।