বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতির পর সামনে এসেছে বাংলার রেশন দুর্নীতি (Ration Scam)। গত অক্টোবর মাসে রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) গ্রেফতার করে ইডি (Enforcement Directorates)। তার আগে বাকিবুর নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত সেপ্টেম্বর মাসে রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীরা এক রেজিস্টার খাতা উদ্ধার করেছিলেন। ইডি সূত্রে খবর, রেশন ‘দুর্নীতি’তে কারচুপির হিসেব উঠে এসেছে সেই খাতাতেই।
রেশন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তাতেই একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, জ্যোতিপ্ৰিয়র আগেই এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল বাকিবুর রহমান। টানা ৫৩ ঘণ্টা অভিযানের পর মিল ব্যবসায়ী বাকিবুরকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বর্তমানে ইডি হেফাজতে বাকিবুর।
আগেই ইডি জানিয়েছিল, সাধারণ মানুষের জন্য পাঠানো রেশনের খাদ্যসামগ্রী নয়ছয় করতেন বালু-‘ঘনিষ্ঠ’ ইউ বাকিবুর রহমান এবং তার সহযোগীরা। ইডির অনুমান, রেশন ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর থেকে শুরু করে খাদ্য দফতরের বেশ বেশ কয়েক জন আধিকারিকও এই দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: আলমারি ভর্তি…! অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার ৯০৫ লিটার অ্যালকোহল
প্রসঙ্গত, জ্যোতিপ্ৰিয় যখন গ্রেফতার হন তখন তিনি অবশ্য খাদ্য দফতরের মন্ত্রী ছিলেন না। ২০২১ সালে জ্যোতিপ্রিয়কে খাদ্য দফতর থেকে বন দফতরে পাঠিয়েছিল তৃণমূল। তবে চার্জশিটে ইডির দাবি খাদ্য দফতরের মন্ত্রী বদল হলেও দেদারে চলেছে দুর্নীতি। বন দফতরে থেকেও খাদ্য দফতরের চাবি বলুর কাছেই ছিল কিনা সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
মঙ্গলবার রেশন দুর্নীতি মামলায় কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ১৬২ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। জানা যাচ্ছে, চার্জশিটে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়, বাকিবুর ছাড়াও নাম রয়েছে এই দুজনার নামে থাকা ১০টি ভুয়ো সংস্থার নাম। ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে।