বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিদিন ঘড়ি ধরে ঠিক সন্ধ্যে সাতটা বাজলেই বাড়ি থেকে বের হন অভিজিৎ শর্মা। আবার ঠিক দেড় ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে আসা। এই ছিল দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাসকারী এই বাসিন্দার প্রতিদিনের রুটিন। তবে আচমকা একদিন তাঁর সাথে যে এমন ভয়ঙ্কর এক ঘটনা ঘটবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি অভিজিৎ বাবু।
অভিজিৎ শর্মা পেশায় মৌলানা আজাদ কলেজের ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের একজন অধ্যাপক। পরিবার সূত্রের খবর, 51 বছর বয়সী অভিজিৎ বাবু প্রতিদিন সাতটার সময় হাঁটতে বের হন এবং যথারীতি 9 টা বাজলেই ঘরে ফিরে আসেন। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যাবেলা বাড়ি থেকে বেরোনোর পর ঘন্টার কাঁটা দশটা পেরিয়ে গেলেও যখন তিনি বাড়ি ফেরেননা, তখন স্বভাবতই চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সকলে। এরপর এলাকার মধ্যে খোঁজাখুঁজি শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত খুঁজে না পেয়ে পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করেন তারা। সারা রাত কেটে যাওয়ার পর এদিন সকাল 11 টার সময় থানা থেকে ফোন করে উল্টোডাঙার বুকে উদ্ধার হওয়া এক মৃতদেহের শনাক্ত করণের জন্য পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, উল্টোডাঙায় উদ্ধার হওয়া সেই ব্যক্তির সঙ্গে অভিজিৎ শর্মার চেহারার অনেক মিল পাওয়ায় পরিবারকে ফোন করা হয় এবং পরিবারের লোকজন এসে সেই মৃতদেহটি অভিজিৎ বাবুর বলে শনাক্ত করে। অধ্যাপক অভিজিৎ শর্মার একটিমাত্র ছেলে দিল্লিতে পড়াশোনা করলেও স্ত্রী সহ বাকি পরিবারের সাথে তিনি দমদমে বসবাস করতেন। কিন্তু আচমকা হাঁটতে বেরিয়ে এমন কি হলো যে শেষপর্যন্ত তাঁর মৃতদেহ উল্টোডাঙার মত জায়গা থেকে পাওয়া গেল, এই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে বর্তমানে তদন্তে নেমেছে পুলিশ এবং এই রহস্যের কিনারা কোথায় গিয়ে ঠেকে, সেদিকেই তাকিয়ে মৃতের পরিবার।