বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আগামী ৫ ই অগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram temple) ভূমি পূজনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এই মন্দিরের নির্মানে সম্মতি প্রাপ্ত হওয়া গেছে। সেইমত চলছে তোরজোর। তবে শোনা গিয়েছে এই মন্দিরের ২০০০ ফুট নীচে একটি টাইম ক্যাপসুল (Time capsule) রাখা হবে। কিন্তু কেন রাখা হবে এই টাইম ক্যাপসুল? কি কাজ এই টাইম ক্যাপসুলের?
কি এই টাইম ক্যাপসুল?
টাইম ক্যাপসুল হল এমন এক ধাতম জিনিস, যা মাটির নিচে রাখা থাকে। এটি একপ্রকার বিশেষ ধরণের তামা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যার দৈর্ঘ্যে প্রায় তিন ফুট। এটি সহজে ক্ষয় হয় না, যা নষ্ট হয়ে যায় না। হাজার হাজার বছর ধরে মাটির অভ্যন্তরে থাকলেও, রটির কোনরূপ ক্ষতি হয় না।
টাইম ক্যাপসুলের কাজ
এই টাইম ক্যাপসুলের কাজ হল, রাম মন্দিরের নির্মানের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য এখানে নিরাপদে রাখা থাকবে। দীর্ঘ ৫০০ বছর পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে নির্মিত হতে চলেছে রাম মন্দির। তাই এই মন্দির সম্পর্কে ভবিষ্যতে কোনরূপ বিরোধ যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য এই মন্দিরের ২০০০ ফুট নীচে একটি টাইম ক্যাপসুল রাখা হচ্ছে। যার মাধ্যমে মন্দিরের যাবতীয় ইতিহাস জানা যাবে।
সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সংস্কার সম্বন্ধেও জ্ঞান লাভ হবে
এই টাইম ক্যাপসুলের মাধ্যমে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গত প্রজন্মের সম্বন্ধে জানতে পারে। কবে, কেন, কি পরিস্থিতিতে কারা এই টাইম ক্যাপসুলের উপর থাকা স্থাপত্য নির্মান করেছিল, তা জানা যায়। এর পাশাপাশি সেই সময়কার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সংস্কার সম্বন্ধেও জ্ঞান লাভ করা যায়।
পূর্বেকার টাইম ক্যাপসুল
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৩ সালের ১৫ ই অগস্ট লাল কিলার কাছে মাঠে একটি টাইম ক্যাপসুল রেখেছিলেন। যা পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই জমি খুঁড়ে তুলে নিয়েছিলেন। আবার পূর্বে ২০১৭ সালের ৩০ শে নভেম্বর স্পেনের বার্গোস-এ প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো যিশুখ্রিষ্টের মূর্তির আকারের একটি টাইম ক্যাপসুল পাওয়া গিয়েছিল। যা থেকে ১৭৭৭ সালের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক তথ্য জানা গেছিল।
সিদ্ধান্তে বদল
ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পাত রাই প্রথমে জানিয়েছিলেন, প্রথম রাম মন্দিরের নীচে টাইম ক্যাপসুল রাখা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার তা অস্বীকার করেছেন। এসব গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।