বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথায় বলে প্রদীপের নীচেই সবথেকে বেশি অন্ধকার থাকে। স্বপ্ননগরীর বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বাইরের চাকচিক্য দেখে অনেকেরই চোখ ধাঁধিয়ে যেতে পারে, কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রির অন্তরই যে কর্দমাক্ত তা বহুবার উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে। অন্ধকার জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে অবৈধ মধুচক্র চালানো বা মাদকের (drugs) নেশা, বিভিন্ন বিতর্কে বহুবার জড়িয়েছে টিনসেল টাউনের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের নাম।
আজ শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খানের মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া নিয়ে তোলপাড় বিভিন্ন মহল। অথচ বলিউডের সঙ্গে নেশার কারবারীদের যোগাযোগ বহু পুরনো দিন থেকেই চলে আসছে। নেশায় বুঁদ হয়ে কেউ কেউ হারিয়ে যেতে যেতে ফিরে এসেছে আবার অনেকে চিরতরে ডুবে গিয়েছেন অন্ধকারে। চিনে নিন এমনি কয়েকজন নেশাখোর অভিনেতাদের-
সঞ্জয় দত্ত– বলিপাড়ার নেশাখোরদের তালিকায় সবার প্রথমে আসবে সঞ্জয় দত্ত ওরফে সঞ্জুবাবার নাম। পুরোপুরি নেশার কবলে চলে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। ১৯৮১ সালে ‘রকি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন তিনি। প্রথম ছবিতেই নিজের অভিনয় দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন সঞ্জয়। এরপর বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে তাঁর কাছে। কিন্তু ড্রাগসের নেশার কারনে বহু ভাল ছবি হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁর। এমনকি জ্যাকি শ্রফ অভিনীত ‘হিরো’ ছবিতে প্রথমে সঞ্জয়েরই অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু নেশার কারনে তা আর হয়ে ওঠেনি।
নিজের এই মারাত্মক নেশা নিয়ে বহুবার সংবাদ মাধ্যমের সামনেও মুখ খুলেছেন অভিনেতা। একবার একটি কলেজের অনুষ্ঠানে এসে ড্রাগসের নেশা নিয়ে বলার সময় সঞ্জয় দত্ত জানান, তাঁর মা মারা যাওয়ার পর এক দিন তিনি পরিচারককে বলেন তাঁকে খাবার দেওয়ার কথা। তখন সেই পরিচারক জানান, দুদিন ধরে কিছু না খেয়ে শুধুই ঘুমিয়েছেন সঞ্জয়। তাঁর নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল।
আমেরিকায় চিকিৎসার সময় তাঁকে মাদক দ্রব্যের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় সবকটি নামে টিক দিয়েছিলেন অভিনেতা। অর্থাৎ তিনি সব মাদকই গ্রহণ করেছিলেন। তবে চিকিৎসার পর তিনি দুরন্ত কামব্যাক করেন ছবিতে।
ইয়ো ইয়ো হানি সিং– বলিউডের জনপ্রিয় র্যাপার হানি সিং কয়েকদিনের মধ্যেই সাফল্যের চূড়ায় উঠে গিয়েছিলেন। সেই সাফল্যে চোখে ধাঁধা লেগে যায় গায়কের। ড্রাগস ও মদের নেশার ডুবে যান হানি সিং। বাড়তে থাকে কেরিয়ারের সঙ্গে দূরত্ব। মাদকের নেশা ছাড়াতে রিহ্যাবেও যেতে হয়েছিল হানি সিংকে। এখন তিনি নেশামুক্ত হয়ে ফের কেরিয়ারে মনোনিবেশ করেছেন।
ফারদিন খান– কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও বলিউডে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি ফারদিন খান। ২০০১ সালে কোকেন সমেত ধরা পড়েন তিনি। যদিও আদালতে তিনি বেকসুর খালাস পেয়ে যান। তবে তারপর থেকে মাদক চক্রের সঙ্গে ফারদিন খানের নাম আর জড়ায়নি।
পূজা ভাট– মদের নেশায় চুর হয়ে গিয়েছিলেন মহেশ ভাট কন্যা পূজা ভাট। ছবি হিট হোক বা ফ্লপ সবেতেই মদ থাকতই তাঁর হাতে। কিন্তু পূজা জানান বাবার থেকে একটি মেসেজ পাওয়ার পরেই তিনি জীবনকে অন্য ভাবে দেখতে শুরু করেন।