বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ছবির মত সুন্দর জীবন কে না কাটাতে চায়। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য থাকেনা সবার। তবে সাধ মেটাতে যারা উদ্যোগী হয় তারা সাধারণত দুটি পথ বেছে নেয়, একটি কঠোর পরিশ্রমের অন্যটি শঠতার৷ রায়পুরের নাবালকেরা দ্বিতীয় পথটি বেছেছিল। নিখুঁত প্ল্যানিং এ একের পর এক চুরি করেও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেল তারা। আর ধরা পরার পর তাদের কৌশলে ঘুম উড়েছে পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ধৃত চার অভিযুক্তের মধ্যে দুজন নাবালক। তারা যথাক্রমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনিতে পাঠরত। লকডাউনে তারা শহরের এক অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। সেখানেই তারা মোট ৮ টি চুরি করে বলে অভিযোগ।
জানা যাচ্ছে, মাঝরাতে তারা কাটার দিয়ে তালা ভেঙে ডাকাতি করল৷ তাদের ৩ জন বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলে একজন বাড়ির বাইরে চারপাশে নজর রাখত। পুলিশ যাতে কোনো ভাবেই ট্রেস না করতে পারে তাই মোবাইলের বদলে চুরির সময় ব্যবহৃত হত ওয়াকিটকি। মোট ১০ লাখ টাকার ওপর চুরি করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
অবশেষে একটি সোনার দোকান থেকে টাকা চুরি করার সময়ে সিসিটিভিতে ধরা পড়ে যায় দলের একজন। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তাদের খুঁজে বার করে। অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে, দামি বিলাসবহুল জীবনের প্রতি লোভই তাদের এই পথে টেনে এনেছে। তাদের চুরি করা জিনিসপত্র ও গহনা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।