বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এই গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে রয়েছে ভগবান শিবের (shiva) মাহাত্ম্য। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও রয়েছে দেবাদিদেবের নানান মন্দির। তবে শ্রাবণ মাসের চতুর্থ সোমবার আমরা আলোচনা করব ভারতের একটি প্রসিদ্ধ শিব মন্দিরের বিষয়ে। গুজরাটের সোমনাথ মন্দির (Somanth Jyotirling Temple)।
সোমনাথ শব্দের অর্থ হল ‘চন্দ্র দেবতার রক্ষাকর্তা’। গুজরাট রাজ্যের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের বেরাবলের নিকটস্থ প্রভাস ক্ষেত্রে এই সোমনাথ মন্দির অবস্থিত। শিবের দ্বাদশ লিঙ্গের মধ্যে অন্যতম পবিত্র মন্দির এটি। পুরাণ মতে, অতীতে বহু বার ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছিল এই মন্দিরকে। তবে তা সত্ত্বেও এই মন্দির পুনর্নিমান করা হয়।
এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা সোমেশ্বর মহাদেব নামে পরিচিত। পুরাণ মতে, সত্যযুগে সোমেশ্বর মহাদেব ভৈরবেশ্বর, ত্রেতাযুগে শ্রাবণিকেশ্বর ও দ্বাপর যুগে শ্রীগলেশ্বর নামে পরিচিত ছিলেন মহাদেব শিব। বলা হয়, এই মন্দির খ্রিস্টের জন্মের বহু আগে থেকেই নির্মিত ছিল।
কথিত আছে, একবার দক্ষ প্রজাপতির অভিশাপের কবলে পড়ে চন্দ্রের আলো কমে যায়। যার ফলে সমগ্র বিশ্ব অন্ধকার হওয়ার ভয়ে, দক্ষের দারস্থ হন সকল দেবতারা। তখন দক্ষ জানান, চন্দ্র যদি দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো করে, তাহলে তিনি তাঁর আলো ফিরে পাবেন। এরপর চন্দ্র দেব মহাদেব শিবের পুজো করলে, দেবাদিদেবের শিবশক্তির জ্যোতির আশীর্বাদে চন্দ্রের আলো ফিরে আসে। যার কারণেই, এই মন্দির প্রসিদ্ধ।