বাংলা হান্ট ডেস্ক: স্ত্রীর “অবৈধ” সম্পর্কের কথা জানতে পেরে চরম মাশুল দিতে হল স্বামীকে। জানা গিয়েছে যে, বেশ কয়েকমাস ধরে দূরসম্পর্কের এক দেওরের সঙ্গে “বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে” জড়িয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। আর সেই কথা জানতে পেরেই গত সোমবার স্ত্রীর পিছু নেন স্বামী। সেখানেই সমস্ত ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যায়।
এক্কেবারে হাতেনাতে “ধরা” পড়ে যান ওই মহিলা এবং তার প্রেমিক। কিন্তু, তারপরই প্রাণ বিসর্জন দিতে হয় স্বামীকে। অভিযোগ উঠছে যে, স্বামীর কাছে ধরা পড়ার পরই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে ওই ব্যক্তির গলার নলি কেটে খুন করেছে স্ত্রী। সোমবার রাতে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা পুরসভার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে।
এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বিশাল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশও। এদিকে, মৃতের আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, ওই ছেলেটির সঙ্গে প্রায় ছ’মাস ধরে বিবাহবহিভূর্ত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিযুক্ত মহিলা।
প্রায়সই তাঁরা একে অপরের সাথে দেখা করতেন বলেও জানা গিয়েছে। এই সম্পর্কের কথাই জানতে পেরে যান মহিলার স্বামীও। তাই, গত সোমবার অভিযুক্ত মহিলা বাড়ি থেকে বেরোতেই তাকে অনুসরণ করতে থাকেন ওই ব্যক্তি। সেখানেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান তারা। আর তারপরেই রবীন্দ্রনগর থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই ব্যক্তিকে গলা কেটে খুন করে অভিযুক্তরা।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিজনরা। এছাড়াও, এলাকাবাসীরা পুলিসের কাছে দাবি করে যে, তাঁদের হাতে অভিযুক্তদের তুলে দিতে হবে। কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকাও। এদিকে, উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিস সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস পুরো এলাকাটি ঘিরে রাখে। শেষ পর্যন্ত ঘটনায় অভিযুক্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিস এবং তাদের আটকও করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রও পুলিস উদ্ধার করেছে।