কাঙাল পাকিস্তানে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক কারখানা! ঝাঁপ বন্ধ করল Suzuki, Honda

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বেহাল অবস্থায় রয়েছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের (Pakistan Economic Crisis) মধ্যে শীঘ্রই দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে শাহবাজ শরিফের দেশের। মুদ্রাস্ফীতির হার পৌঁছে গিয়েছে ২৫.৪ শতাংশে। গত বছরও যা ছিল ১০.৩ শতাংশ। ডলারের তুলনায় পাক রুপির মূল্য ৩৫ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় খালি।

ফলে বাইরে থেকে জিনিস আমদানি আপাতত বন্ধ পাকিস্তানের। একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। অর্থনীতিবিদরা জানাচ্ছেন, আগামী দিনগুলি আরও কষ্টকর হতে চলেছে সাধারণ মানুষের জন্য। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, সঠিক পথে ফিরতে পাকিস্তানকে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। উল্লেখ্য, অন্যান্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) থেকে সাহায্য চেয়েও পায়নি তারা। এবার বিভিন্ন বড় সংস্থা পাকিস্তানে তাদের কারখানা বন্ধ করে দিল। 

suzuki pak plant

বাজারে কাঁচামালের ঘাটতির কারণে সংস্থাগুলি তাদের উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি পাক স্টক এক্সচেঞ্জ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, সুজুকি মোটর কর্প (Suzuki Motor Corp) তাদের একটি স্থানীয় ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ বাজারে গাড়ির যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গান্ধার টায়ার অ্যান্ড রাবার কোম্পানিও (Gandhar Tyre and Rubber Company) তাদের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। 

shahbaz sharif

এই সংস্থা টায়ারের টিউব উৎপাদন করে। টায়ার সংস্থা জানিয়েছে, কাঁচামাল আমদানি করতে না পারায় তাদের এই সিদ্ধান্ত। এছাড়াও আরও অনেক সংস্থাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আমরা করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের (Karachi Stock Exchange) তালিকাভুক্ত দু’টি সংস্থার কথাই বলছি। পাকিস্তানে সার, ইস্পাত এবং টেক্সটাইল সম্পর্কিত অনেক কোম্পানি হয় তাদের কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বা মাঝে মধ্যেকাজ করছে।

পাক অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পরিস্থিতি চললে দেশে বেকারত্বের হার অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। সুজুকির মতো হন্ডা মোটর (Honda Motor) এবং টয়োটা মোটরেরও (Toyota Motor) স্থানীয় ইউনিটগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারাও মাঝে মধ্যে কাজ করছে। পাকিস্তানে বিগত ৩ বছরে গাড়ি কেনার হার একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রসঙ্গত, ঋণে জর্জরিত হয়ে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি। তারা সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে চিনের থেকে। তবে পাকিস্তান যে আবার ঘুরে দাঁড়াবে, তা নিয়ে আশাবাদী চিন। যদিও ফের কোনও অর্থ সাহায্য তারা করেনি।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর