বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কৃষক সংগঠন গুলো ১২ ডিসেম্বর থেকে গোটা দেশকে টোল ফ্রি করার ঘোষণা করেছিল। আর সেই সুত্রেই হরিয়ানার করনাল আর পানিপথে আন্দোলনকারী কৃষকরা শুক্রবার রাত থেকে বসতাড়া টোল প্লাজা আর পানিপথ টোল প্লাজায় কবজা করে নেয় আর ব্যারিয়ার ভেঙে দেয়। কৃষকরা টোল প্লাজায় কবজা করার পর থেকে যানবাহন শুল্ক ছাড়াই অবাধে যাতায়াত করছে। পুলিশ প্রশাসনকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
জেলার ন্যাশানাল হাইওয়েতে বসতাড়া আর করনাল-জিন্দ মার্গের টোল প্লাজা নিয়ে কৃষকরা শুক্রবার সকালেই সক্রিয় হয়ে যায়। কৃষকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শনিবার টোল বন্ধ রাখার জন্য কোম্পানির আধিকারিকদের আবেদন জানায়। এরপর টোল কর্তৃপক্ষ জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ-এর নির্ণয়ের পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায়। কৃষকদের এই দাবি জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ আর স্থানীয় কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছিল।
এরপর ডিসি নিশান্ত কুমার যাদব শনিবার সকালে টোল প্লাজায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তার আগেই শুক্রবার মধ্যরাতে প্রচুর পরিমাণে পাঞ্জাব আর হরিয়ানার কৃষকরা বসতাড়া টোল প্লাজায় পৌঁছায়। সেখানে টোল ফ্রি করার পর যখনই তাঁরা সেখান থেকে চলে যায়, কর্তৃপক্ষ আবারও টোল নেওয়া শুরু করে দেয়। এরপর কৃষকরা আবার সেখানে পৌঁছে ব্যারিয়ার ভেঙে দেয়। এরপর আন্দোলনরত কৃষকরা পানিপথ টোল প্লাজাতেও কবজা করে সেটিকে টোল ফ্রি করে দেয়।
আরেকদিকে, অন্নদাতা ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সভাপতি গুরমুখ সিংহ বলেন, ১৩ ডিসেম্বর লোনি বর্ডার বন্ধ করার নির্ণয় নেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে হরিয়ানা আর উত্তর প্রদেশের কৃষক সংগঠনের বৈঠক চলছে। রণনীতি অনুযায়ী, লোনি বর্ডার রোডের দিকে কুচ করবে কৃষকরা। তিনি বলেন, টোলে হওয়ার প্রদর্শনের সময় দুটি বড় শিল্পপতিকেও বহিস্কার করবে তাঁরা। এছাড়াও ১৪ টি জেলায় প্রদর্শনের পরিকল্পনা বানিয়েছে তাঁরা।