বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ন্যাশানাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আব্দুল্লাহ রবিবার উধমপুর গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি নিজের দলের কর্মীদের সামনে বক্তব্য পেশ করেন। সেখানে গিয়ে তিনি একটি চাঞ্চল্যকর তথ্যও পেশ করে বিরোধীদের উপর ওনাকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন। ফারুক আব্দুল্লাহ দলের কর্মীদের সম্বোধন করে বলেন, এই মাসে ঝাড়খণ্ড থেকে আমার ফোনে ফোন এসেছিল। সেখানে আমাকে বলা হয়েছিল যে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলবেন।
আব্দুল্লাহ বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টা পর আমার ফোনে আরও একটি ফোন আসে। সেই ফোনে আমাকে বলা হয় যে, ‘ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন। যদি আপনিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গে যান তাহলে আপনিও ৫০ লক্ষ টাকা পাবেন।”
আব্দুল্লাহ বলেন, এই ফোনের পর আমার সন্দেহ হয়েছিল। আর সেই কারণে তৎক্ষণাৎ আমি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দলের এক সাংসদের সঙ্গে ফোনে কথা বলি। তখন সাংসদ বলেন, এরকম কিছুই হয়নি। ঝাড়খণ্ডের সাংসদ বলেন, এরকম ফোন দেবেগৌড়ার কাছেও গিয়েছিল।
এই বিষয়ে নিজের দলের কর্মীদের ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের বিরোধী দল নির্লজ্জতার সীমা পার করতে সময় নেয় না, কারণ তাঁদের কাছে অনেক টাকা আছে শক্তি আছে। বিরোধীরা আমাকে শুধু ফাঁসানোর চেষ্টা করে।”
বলে রাখি, কিছুদিন আগেই ফারুক আব্দুলাহ একটি বড় মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্বস্তি পেয়েছিল। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর ওনার বয়ানবাজির বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে ওনাকে দেশদ্রোহী ঘোষণা করার দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, সরকারের মতের সঙ্গে না মিললে সেটা দেশদ্রোহ হয়ে যায়না। আর সুপ্রিম কোর্ট ফারুক আব্দুল্লাহকে স্বস্তি দিয়ে আবেদনকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল।