বাংলাহান্ট ডেস্ক : মৃত ছেলে ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে কারো কাছ থেকে তুলেছিলেন ৫০০০০, আবার কারোর কাছ থেকে ১ লক্ষ বা ৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনি আর বর্তমানে এ পৃথিবীতে নেই। তাই চাকরিপ্রার্থীদের সেই সমস্ত টাকা শোধ করতে হচ্ছে হতভাগ্য বাবাকে।
স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় সারা রাজ্য সরগরম। গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে খোঁজ বলছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের এই ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সমাজের বড়ো অংশ। রাজ্যে ফের পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের একটা অংশ।
এই দুর্নীতি মামলা এবার আরও একটি নাম উঠে এলো সামনে। ২০১৮ সালে খুন হন তৃণমূলের নান্টু প্রধান। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নান্টুকে “পার্থ ঘনিষ্ঠ” বলেই জানতো সবাই। সেই সুযোগ নিয়ে অসংখ্য চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে তুলেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা । কিন্তু নান্টু খুন হয়ে গেলেও তার বাড়িতে এসে কড়া নাড়ছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এমন অবস্থায় নান্টুর বাবা চাঁদ হরির দাবি,”ইতিমধ্যেই ৫০০ জনের টাকা মিটিয়েছি। আরো কিছুজনের টাকা মেটানো বাকি আছে। টাকা মেটাতে গিয়ে বেশ কিছু সম্পত্তি বিক্রি হয়ে গিয়েছে আমার। বাকিদের টাকাও আমি ফিরিয়ে দেবো।” নান্টুর বাবার থেকে তাদের টাকা পেয়ে খুশি চাকরি প্রার্থীরা। অনেকে আবার বলছেন “ছেলের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছেন বুড়ো বাবা!”