বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাপ্ত বকেয়া টাকা না মেটানোর অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সরব রাজ্য (West Bengal) সরকার। বারবার উঠে এসেছে বঞ্চনার প্রসঙ্গ। তবে নতুন অর্থবর্ষ শুরুর আগে মিলল সুখবর। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওনা টাকার একাংশ পেল রাজ্যের খাদ্যদপ্তর। সরকারি সূত্রে খবর সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে মোট ৭৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের বরাদ্দে লক্ষ্মীলাভ হল বাংলার (West Bengal)
তবে পাওনার অঙ্কটা এখনও অনেক। জানা যাচ্ছে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছর পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে খাদ্য দপ্তরের। ‘সেন্ট্রাল পুল’-এর জন্য চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে চাল উৎপাদন করে রাজ্য সরকার (West Bengal)। এই খরচও কেন্দ্রীয় সরকারের বহন করার কথা।
রাজ্যের (West Bengal) অভিযোগ, এক্ষেত্রে পুরো টাকা দেওয়া হয় ঠিকই, তবে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে পুরো টাকা মেটাতে অনেক সময় নষ্ট করা হয়। প্রসঙ্গত জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতাধীন রেশন গ্রাহকদের জন্য চাল সরবরাহ করা হয় এই ‘সেন্ট্রাল পুল’ থেকে। এই সমস্ত রেশন দোকান চালানোর জন্য সম্পূর্ণ খরচের অর্ধেক দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা মেটানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও হয়েছে। কিন্তু,পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অভিযোগ তারপরেও টাকা দিতে দেরি করা হচ্ছে। পাওনা মেটানোর জন্য দীর্ঘ দিন ধরে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের কথা অনুযায়ী কয়েকটি বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে তা কেন্দ্রকে জানানোও হয়েছিল। আর তারপরেই এবার মিলল পাওনা টাকার একাংশ। খাদ্যদপ্তর সূত্রে খবর, বাকি টাকা মার্চ মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন: ‘ওইসব প্যাক প্যাক বুঝি না!’ সেই আইপ্যাক কর্তা গেলেন নবান্নে, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক তুঙ্গে জল্পনা
প্রসঙ্গত কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা তালিকা বেশ লম্বা। যা নিয়ে হামেশাই সরব হন, তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক-সাংসদরা। একদিকে সংসদে সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো অন্যদিকে রাজ্য বিধানসভায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও একাধিক সরকারি প্রকল্পে বঞ্চিত থেকেছেন বাংলার মানুষ। তাই শেষমেশ রাজ্যের কোষাগারের টাকা দিয়েই বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত বছরেই মোট ১২ লক্ষ উপভোক্তাদের আবাস প্রকল্পে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। মেটানো হয়েছে একশো দিনের কাজের মজুরির টাকাও। এছাড়াও এবারের রাজ্য বাজেটে পথশ্রী প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে বেশি টাকা। যার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তার কাজ।