বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গালওয়ান উপত্যকায় (galwan valley) নিহত ৪ চীনা সৈনিকের কথা স্বীকার করল বেজিং। ভারত (india)-চীন (china) সংঘর্ষের মাঝে ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চীন ফৌজের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু তখন ৪৫ জন চীনা সেনার মৃত্যুর আশঙ্কা করা হলেও চীন সরকার তা স্বীকার করেনি।
এই ঘটনার পর নিজের দেশের নাগরিকদেরই ক্ষোভের শিকার হতে হয়েছিল চীনা সরকারকে। এমনকি কদিন আগে রাশিয়ার এক সংবাদ মাধ্যমও দাবি করেছিল, সেদিন ৪৫ জন চাইনিজ সেনা মারা গিয়েছিলেন। রাশিয়ার এই রিপোর্টের সঙ্গে একমত হয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাও। কিন্তু চীন সরকার তা মানতে নারাজ ছিল।
অবশেষে চাপের মুখে পড়ে নতিস্বীকার চীনের। গ্লোবাল টাইমস সূত্রে জানা গিয়েছে, চীনের ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন’ সেদিনের ভারত- চীন সংঘর্ষে কারাকোরাম পর্বতমালায় মোতায়েন থাকা ৪ সামরিক বাহিনীর আধিকারিকের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, তাদের আবার ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায়’ ভারতীয়দের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হওয়ায় শহিদ স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে।
সেইসময় মৃত সৈনিকদের নাম প্রকাশ না করায় নাগরিকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এখন চাপের মুখে পড়েই মৃত সৈনিকদের নাম প্রকাশ্যে এনে তাদের শহিদের স্বীকৃতি দিচ্ছে চীন। তবে এই সংঘর্ষের জন্য চীন বরাবরই ভারতকে দায়ী করেছে। তাদের দাবি, ভারতের সেনাবাহিনীর হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছিল চাইনিজ সেনারা।
জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে সেদিন চীনের ৪ সামরিক বাহিনীর আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে ছিলেন ওয়াং ঝউরান, জিনজিয়াং মিলিটারি কমান্ডের রেজিমেন্টাল কমান্ডের কুই ফাবাও, চেন জিয়াংগ্রনগ, জিয়াউ সিইউয়ান। এদের মধ্যে ‘হিরো রেজিমেন্টাল কমান্ডার’-র স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে কুই ফাবাওকে এবং বাকিদের ‘ফার্স্ট ক্লাস মেরিট’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে চীন সরকার।