বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে এখন বদলের ডাক। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে বদলের বাংলাদেশে ক্রমশ হতাশা বাড়াচ্ছে ম্রিয়মাণ অর্থনীতি। মূলত পাঁচটি খাঁড়ার উপর ঝুলছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চিত্র। বাংলাদেশের কাছে এখন বড় সমস্যার কারণ মুদ্রাস্ফীতি।
৫ ঝুঁকির ফাঁড়া বাংলাদেশে (Bangladesh)
পাশাপাশি রয়েছে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, পরিবেশ দূষণ, বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য দিয়েছে সম্প্রতি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির জন্য ২০২৫ সালে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া এবং দূষণ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জনঘনত্ব বেশি ভারত (India) ও বাংলাদেশে (Bangladesh)। এই দুটি দেশের কাছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবুজ অর্থনীতির ক্ষেত্রে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এছাড়াও, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও অর্থনীতির নিম্নমুখীতা বাংলাদেশের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছে ডব্লিউইএফ।
আরোও পড়ুন : বদলে গেল সব হিসেব, ‘চিরসখা’কে জায়গা দিতে এই সিরিয়াল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জলসার!
এই দুটি কারণ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, মূল্যস্ফীতি, ব্যবসা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে মুদ্রাস্ফীতির হার বাংলাদেশে ছিল ১০.৩৪%। তার আগের বছর এই হার ছিল ৯.৪৮%। ডব্লিউইএফের তরফে একটি দেশের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলি চিহ্নিত করতে নির্বাহী মতামত জরিপ (ইওএস) চালানো হয়।
আরোও পড়ুন : আজকের রাশিফল ২২ জানুয়ারি, ব্যবসায় বাজিমাত এই চার রাশির
সেই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৪ টি ঝুঁকির তালিকার অপশন দেওয়া হয়। সেখান থেকে অংশগ্রহণকারীরা বেছে নেন পাঁচটি প্রধান ঝুঁকি। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে। সেই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। বিনিয়োগকারীদের কাছে আস্থা কমছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। এই কারণে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিমাণ হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।