বাংলহান্ট ডেস্কঃ ”ॐ শ্রী সন্তোষী মহামায়ে গজানন্দন দায়িনী শুক্রবারঃ প্রিয়ে দেবী নারায়ণী নমস্তুতে”।
সন্তোষী মা (Santoshi Maa) চর্তুভূজা তথা রক্তবস্ত্র পরিহিতা। সন্তোষী মা নিজের চারটি হাতের দুটিতে ত্রিশূল ও তলোয়ার ধারণ করেন ও বাকী দুটি হাতে বরাভয় ও সংহার মুদ্রা ধারণ করেন। মায়ের ত্রিশূলপাত তিনটি গুণের প্রতীক ও তলোয়ারটি জ্ঞানের প্রতীক।
পৌরাণিক মতে, রাখি পূর্ণিমার দিন গণেশের (Ganesha) বোন তাঁর হাতে রাখি বেঁধে দিচ্ছিলেন। তখন গণেশের দুই পুত্র শুভ আর লাভের ইচ্ছা ছিল তাঁরা বোনের হাতে রাখী বাঁধবেন। অবুঝ সন্তানদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে পিতা গণেশ কন্যা রূপে দেবী সন্তোষীর সৃষ্টি করেছিলেন।
দাদাদের মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য তার সৃষ্টি হওয়ায়, তাঁর নাম হল সন্তোষী। দিনটি ছিল রাখী পূর্ণিমার দিন এবং শুক্রবার। সন্তোষের অধিষ্ঠাত্রী এই দেবী, তার ভক্তের সকল মনোষ্কামনা পূর্ণ করেন বলে তাঁকে সন্তোষী মা বলা হয়।
ষাটের দশকের শুরুতে সন্তোষী মায়ের প্রথম প্রচার শুরু করা হয়েছিল। মৌখিক কথা-কাহিনী, ব্রতের বিবরণী সম্বলিত পুথি, পোষ্টার ইত্যাদির মাধ্যমে সন্তোষী মায়ের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। যোধপুরে (Jodhpur) প্রাচীনকাল থেকেই সন্তোষী দেবীর একটি মন্দির আছে। দেবীর জন্ম শুক্রবারে পূর্ণিমা তিথিতে তাই। সেহেতু সন্তোষী মায়ের পূজার জন্য শুক্রবার দিনটি বেছে নেওয়া হয়।