বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না কাঁথির অধিকারী পরিবারের। একদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একের পর এক বিতর্ক, বিজেপির অন্দরে টালমাটাল অবস্থা, অন্যদিকে এবার জামিন অযোগ্য মামলায় নাম জড়ালো শুভেন্দু অনুজ সৌমেন্দু অধিকারীরও। এদিন কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নের টাকা তছরূপের দায়ে সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল কাঁথি মহকুমা আদালত।
জানা যাচ্ছে, জনৈক আবু সোহেল সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে এই টাকা তছরূপের অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল কাঁথি মহকুমা কলেজের চেয়ারম্যান থাকাকালীন কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সৌমেন্দু অধিকারী। এবার সেই মামলাতেই ছাড়পত্র দিল আদালত।
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার দাবি, ‘দুর্নীতির পাহাড়ে চড়ে রয়েছে অধিকারী পরিবার। পুরসভার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। নাম বদলে বদলে এক রাস্তা করার জন্য তিন বার টাকা তোলা হয়েছে। আলোর স্ট্যান্ডের যে উচ্চতা দেখানো হয়েছে খাতায় কলমে আদপে তার চিহ্ন মাত্র নেই। সব আস্তে আস্তে সামনে আসছে। তদন্তে সব বেরোবে।’
যদিও পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন সৌমেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। তাঁর দাবি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। তাঁকে অবশ্য এও বলতে শোনা গেছে, যে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা করা হয় তৃণমূলের তরফে। আর একটা মিথ্যে মামলা হলে কিছুই এসে যাবে না সৌমেন্দুর।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরে শুভেন্দু ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের একাধিক নেতা দাবি করেন বিজেপিতে চাপের মুখে পড়ে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন শুভেন্দু। বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে বলেও দাবি ওঠে। অন্যদিকে একই সুরে গলা মেলাল প্রাক্তন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও। একটি সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বিজেপির বর্তমান যে নেতৃত্ব আছেন তাঁরাও মনে করছেন শুভেন্দুকে আর বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। তাঁরা কথায় কথায় আমাদের সামনেই বলেছেন। শুভেন্দুবাবু নিজের লড়াইয়ের একটা জায়গায় বাঘের পিঠে চড়ে বসে আছেন। সুতরাং তাঁকে লড়তেই হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে তিনি বিধায়ক হয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুভেন্দুবাবু একরকম চলছেন, পার্টি আরেক রকম চলছে। এটা বলতে আমার কোনো অসুবিধা নেই।’ এহেন অবস্থায় দাঁড়িয়ে এই নতুন মামলা যে আবারও কার্যতই চাপে ফেলল অধিকারীদের, তা বলাই বাহুল্য।