বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র (DA) দাবিতে উত্তাল রাজ্য। রাজ্যের ডিএ মামলা এখন সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন। মার্চের ১৫ তারিখ এই মামলার ফের শুনানি রয়েছে। অন্যদিকে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বিগত ১৬দিন ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীরা (Government Employees) আন্দোলনে (Protest) বসেছেন। এই আবহেই তিনজন সরকারি কর্মী আমরণ অনশনে বসলেন। এই নিয়েই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
ঠিক কী বললেন মন্ত্রী? ডি-এ আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতে যাব, আবার অনশনও করব। তা আবার হয় নাকি? আদালতে মামলা চলছে। তার মানে এই আন্দোলনকারীদের আদালতের উপর কোনও ভরসা নেই। যাদের আদালতের উপর ভরসা নেই, তাদের ভারতে থাকারও অধিকার নেই।’ অন্যদিকে, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শহিদ মিনারের কাছে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে লাগাতার অবস্থান চালাচ্ছেন সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা। আন্দোলনে যোগ হয়েছেন শিক্ষকরাও। অন্যদিকে যে তিনজন সরকারি কর্মী আমরণ অনশনে বসলেন তাদেরকে দাবি ভবিষ্যতে আরও সরাকরি কর্মী তাদের সঙ্গে অনশনে যোগ দেবেন।
অনশনেরত বসা এক সরকারি কর্মচারী সংবাদ চ্যানেলকে বলেন, ‘সরকার আমাদের এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে। যে দুই ন্যায্য মৌলিক অধিকারের দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করি, সরকার তা মেনে নেয়নি। সরকার আমাদের দাবিতে কর্ণপাত করেনি বিগত ১৫ দিন ধরে। তাই আমরা বাধ্য হয়েছি। সরকার যাতে আমাদের দাবি মানে, এর জন্য আমাদের যতটা যেতে হবে আমরা যাব।’
উল্লেখ্য, প্রথমে এই অবস্থান বিক্ষোভের জায়গা নিয়েও রাজ্য সরকার তরফে বাধা দেওয়া হয় সরকারি কর্মীদের। পরে আদালতেরর নির্দেশমতই চলে আন্দোলন। আন্দোলন চলতে থাকলেও তাদের দাবি মেটানো হয়নি, এই নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনকড়, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেও ইতিমধ্যেই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ চিঠি পাঠিয়েছে বলে জন্য গিয়েছে।