বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গা পুজো মানেই শহরজুড়ে আনন্দ-উৎসব। কিন্তু সেই সঙ্গে বেড়ে যায় কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের চাপ। আর সেই অতিরিক্ত পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য না মেলার অভিযোগেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চুক্তিভিত্তিক একাংশ স্বাস্থ্যকর্মী। যদিও গত মঙ্গলবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাঁদের দাবি নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু বুধবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, পুজোর সময় অতিরিক্ত ভাতা বৃদ্ধির যে দাবি উঠেছে, তা মানা সম্ভব নয়।
৫০০ থেকে ভাতা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০ তে, অথচ কাজের চাপ দ্বিগুণ
পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এই ঘোষণা করার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে প্রায় ৪০০ জন চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে নিযুক্ত হওয়ার সময় তাঁদের প্রতিদিন ৫০০ টাকা ভাতা দেওয়া হত। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে সেই ভাতা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০০ টাকা। অথচ কাজের চাপ আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।
নিয়ম ভেঙ্গে ভাতা বাড়ানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)
পুরসভা সূত্রে খবর, মেয়র (Firhad Hakim) বৈঠকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (NHM) নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বেতন ও ভাতা নির্ধারিত হয়। তাই সেই নিয়ম ভেঙে আলাদা করে অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া সম্ভব নয়।
তবে এই সিদ্ধান্তে শান্ত হননি আন্দোলনরত কর্মীরা। তাঁদের দাবি, পুজোর মধ্যে শহরের জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা তাঁরা বন্ধ করবেন না ঠিকই, কিন্তু দাবি আদায়ের লড়াইয়ে তাঁরা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুনঃ ইন্দ্রনীলের কণ্ঠে মমতার লেখা গান, প্রকাশিত হল টালা প্রত্যয়ের পুজোর বিশেষ থিম সং
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার মোট ১৪৪টি ওয়ার্ডে কাজ করা এই স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালের পর থেকে তাঁদের ভাতা কমিয়েছে কলকাতা পুরসভা। একদিকে ভাতা কমছে, অন্যদিকে কাজের দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ। অথচ সমস্যা নিয়ে কথা বললেও প্রশাসন কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। মেয়র (Firhad Hakim) স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, ভাতা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। কিন্তু ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা। এখন এই বিক্ষোভ কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।