বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলিপুরের অলি-গলি ঘিরে যখন শহর জুড়ে সবুজ রক্ষার ডাক, তখনই বড়সড় গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল কলকাতা (Kolkata) বন্দরের বিরুদ্ধে। অনুমতি ছাড়াই মেহগনি, কদমের মতো একাধিক গাছ কেটে ফেলার (Environmental Violation) ঘটনা সামনে আসতেই তৎপর হল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি চেতলা থানায় জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বন দফতরকেও জানানো হয়েছে লিখিতভাবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্গাপুর ব্রিজের পাশের বন্দর এলাকার জমিতে গাছগুলি ছিল বহু পুরনো। সেগুলি সম্প্রতি কেটে ফেলা হয়। তখনই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে পুরসভায় জানান। তদন্তে নেমে জানা যায়, কলকাতা বন্দরের দাবি—ওই জমি তারা লিজে দিচ্ছে, তাই পরিষ্কারের জন্য গাছ কাটা হয়েছে। যেহেতু জমি নিজেদের, তাই অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।
গাছ কাটার ‘মৌখিক ব্যাখ্যা’ মানতে নারাজ কলকাতা (Kolkata) পুরসভা (Municipality)
কলকাতা (Kolkata) পুরসভার এক আধিকারিক জানান, শহরের যে কোনও এলাকায় বড় গাছ কাটতে হলে আগে অনুমতি নিতে হয়। তা না করেই গাছ কাটা আইন অমান্য। সেই কারণেই পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তাঁরা। সমস্ত তথ্য ও নথি পাঠানো হয়েছে বন দফতরে। প্রয়োজন হলে আইনি পদক্ষেপও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পুর আধিকারিকরা। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর দেবলীনা বিশ্বাস জানান, তিনিই প্রথম খবর পান এবং যাচাই করে দেখেন—আসলে কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, “নির্বিচারে এত বড় গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের যা করণীয়, সব করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ নেতাগিরিও করবেন আবার চাকরিও করবেন? কাকদ্বীপ কলেজে TMCP নেতাদের নিয়োগ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কল্যাণ
কলকাতা বন্দরের (Kolkata Port) মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় অবশ্য জানান, বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না। তবে নিয়ম মেনেই কাজ হওয়ার কথা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “শহরের একদিকে গাছ লাগানোর উদ্যোগ, অন্যদিকে অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা, এটা বরদাস্ত করা যায় না।”
পুরসভা (Kolkata Municipality) বন দফতরকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে। এখন তারা কী ব্যবস্থা নেয়, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে প্রশাসন। শহরের (Kolkata) বুক থেকে সবুজ মুছে গেলে তার দায় কে নেবে—এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাসিন্দাদের মধ্যেও।