কেউ বিক্রি করেছেন বাড়ি, কেও আবার সিকিউরিটি গার্ড! টাকার অভাবে জীবন দুর্বিষহ এই পাঁচ তারকার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চলচ্চিত্র এক মায়াবী জগত। প্রতিবছর বলিউডের নিজেদের জায়গা করার জন্য সারা পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী আসেন দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে। তাদের মধ্যে মাত্র কিছু জনই জায়গা করে নিতে পারেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নাম, যশ ,ঐশ্বর্য,অর্থ বছরের পর বছর ধরে মোহিত করে রেখেছে সারা বিশ্বকে। কিন্তু এমন কিছু তারকাও আছেন যারা নিজেদের ভাগ্য দোষে হারিয়েছেন সবটুকু। আর্থিক অনটনে কাউকে বেছে নিতে হয়েছে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ, আবার কেউ বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন নিজের বসতবাড়ি। আজ এমনই পাঁচ বলিউড তারকা সম্বন্ধে জানবো যাদের অবস্থা অতি দরিদ্র বললেও কম বলা হয়।

১.পূজা দাদওয়াল : বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের সাথে ছবিতে অভিনয় করেছেন পূজা দাদওয়াল। কিন্তু একটা সময় পড়ে তার আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তিনি চিকিৎসা করার খরচও জোটাতে পারছিলেন না। পরবর্তী সময়ে সালমান খানের সাহায্যে তার চিকিৎসা সম্পূর্ণ হয়।

pooja dadwal 12.11.19 2

২.সতীশ কৌল : সতীশ কৌল কাজ করেছেন অমিতাভ বচ্চন, দিলীপ কুমারের মতো সুপারস্টারদের সাথে। কিন্তু অভিনয় জীবন থেকে সরে আসার পর ১০ বছর পর্যন্ত দারিদ্রতার সাথে লড়াই করতে হয়েছিল তাকে। অবশেষে সেই কথা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে পাঞ্জাব সরকার তাকে পাঁচ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য করে।

Satish Kaul 8.9.19 1

৩.রাজেন্দ্র কুমার : হিন্দি ছবির জগতের অন্যতম এক বড় নক্ষত্র রাজেন্দ্র কুমার। তার ছবি সিনেমা হলে আসা মানেই সুপার-ডুপার হিট। অনেকেই তাকে “জুবিলী কুমার” বলেও সম্বোধন করতেন।পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের বিখ্যাত এই অভিনেতাও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন। একটা সময় এমন আসে যখন তাকে তার সাধের বাংলো বিক্রি করতে হয়েছিল রাজেশ খান্নার কাছে।

rajendra kumar 18.11.19 1

৪.সাভি সিধু : অনুরাগ কাশ্যপের ছবি পাঁচ দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা শুরু করেন সাভি সিধু। যদিও সে ছবি মুক্তি লাভ করেনি। এর পরবর্তীতে অনুরাগ কাশ্যপের পরিচালনাতেই গুলাল এবং ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে কাজ করেন।পাটিয়ালাহাউস ছবিতে অভিনয় করেন অক্ষয় কুমারের সাথেও। কিন্তু এরপরেও ভাগ্য সাথ দেয়নি। বলিউডে আর কাজ না পেয়ে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ বেছে নেন তিনি।

savi sidhu 18.11.19 1

৫.মহেশ আনন্দ : বোম্বে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত ভিলেন মহেশ আনন্দ। কিছুদিন আগেই নিজের ফ্ল্যাট থেকে মহেশের পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। দীর্ঘ ১৮ বছর কাজ না পাওয়ায় তার এই অবস্থা হয় বলে ধারণা করা হয়।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর