রেশন বিতরণ নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের! সুবিধা পাবেন দেশের ৮০ কোটি মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: করোনার (Corona) মত ভয়াবহ মহামারীর আবহে খাদ্যের যোগান সঠিকভাবে বজায় রাখার জন্য ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে দেশজুড়ে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। শুধু তাই নয়, মহামারীর পাশাপাশি লকডাউনের ওই সময়ে কেন্দ্রের তরফে শুরু করা বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা বাঁচিয়ে দেয় বহু মানুষের জীবনও।

এমনকি, এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প হিসেবেও বিবেচিত হয়েছিল। এদিকে, বর্তমান সময়ে দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে। পাশাপাশি, বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। আর যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই চিন সহ বিশ্বের একাধিক দেশের অর্থনীতি বড় সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এমতাবস্থায়, এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার জেরে বিঘ্নিত হবে সাপ্লাই চেন। আর সেই দিকটিকে মাথায় রেখেই এবার ফের একবার দেশের নাগরিকদের খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়ার পথে পা বাড়াচ্ছে কেন্দ্র।

ইতিমধ্যেই সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার (Pradhan Mantri Garib Kalyan Anna Yojana, PMGKAY) জন্য যথেষ্ট শস্য মজুত রয়েছে। আর সেই কারণেই চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পরেও এই প্রকল্প চালাতে পারে কেন্দ্র। অর্থাৎ, আগামী ৩ অথবা ৬ মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা পাবেন মানুষ।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, PMGKAY-এর মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এমতাবস্থায়, সরকারি অধিকারিকরা মনে করছেন যে, দেশের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আগামী দু’টি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত এই প্রকল্প চালু রাখা যেতে পারে।

ration

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই স্কিমের আওতায় জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের অধীনে সাধারণ খাদ্যশস্যের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াও প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৫ কেজি রেশন পান গ্রাহকেরা। পাশাপাশি, NFSA (National Food Security Act)-এর অধীনে, দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গ্রামীণ এবং পঞ্চাশ শতাংশ শহরের জনসংখ্যাকে উচ্চ হারে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর