বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিমানের (Flight) ধাক্কায় ৩৬ টি ফ্লেমিঙ্গো পাখির (Flamingo) মৃত্যু। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের (Mumbai) ঘাটকোপারের পন্তনগরের লক্ষ্মী নগর এলাকায়। এমিরেটস বিমান অবতরণ করার সময়ে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। জানা গিয়েছে যে, এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্লেমিঙ্গো পাখি।
এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই বিমানটিও। যদিও পড়ে সুরক্ষিতভাবে ওই বিমানকে অবতরণ করানো সম্ভব হয়েছে। বিমানে ৩১০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উদ্ধার করে নিয়ে যান ৩৬টি ফ্লেমিঙ্গো পাখির দেহ। তাঁরা ইতিমধ্যেই আহত ফ্লেমিঙ্গোর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন।
আরোও পড়ুন : ৩ মাসেরও বেশি জলের তলায়! একধাক্কায় বয়স কমল ১০ বছর! অবাক করবে এই প্রৌঢ়ের কাহিনী
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পাখির সঙ্গে বিমানের ধাক্কা লাগার ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে। ‘ম্যানগ্রোভ প্রোটেকশন সেল’-এর রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার প্রশান্ত বাহাদুরের অভিযোগ, তাঁরা সেখানে প্রবেশ করতে গেলে, তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, রাত ৮টা ৪০ মিনিট থেকে ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পাওয়াত্রই তাঁদের দল রাত ৯টা ১৫ মিনিটেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
আরোও পড়ুন : চাইছেন টিকিট কাটতে, অথচ পারছেন না! অবাক লাগছে? এই স্টেশন থেকে ফ্রি’তেই হচ্ছে যাত্রা
বিশেষজ্ঞদের মতে, আবার অন্য এলাকার মধ্য দিয়ে নতুন বিদ্যুতের লাইন গেছে। তাতেই বিভ্রান্তি বেড়েছে পাখিদের মধ্যে। তাই উড়ন্ত অবস্থায় বিমানে ধাক্কা খাওয়ার মত এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই কাজে অনুমতি দেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষের আরো ভাবনা চিন্তা করা উচিত ছিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বন্যপ্রাণী বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে এমন দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটলো তার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর।
ফ্লেমিংগো পাখিদের মূল আস্তানা এনআরআই কমপ্লেক্স এলাকার জলাভূমি এবং টিএস চাণক্য হ্রদগুলি। গত মাস থেকে নির্মাণ কাজ হবে বলে পাখিদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই কারো তাড়া খেয়ে পাখিগুলি উড়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই বিমানের সঙ্গে থাকা লেগেছে পাখি গুলির। এমনটাই দাবি করেছেন এনজিও বনশক্তির পরিবেশবিদ ডি স্টালিন।