বাংলাহান্ট ডেস্ক- করোনাকাল অতিক্রান্ত করে প্রায় পাঁচ বছর পর ফের দ্রুত ভারত (India) এবং চিনের মধ্যে সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালু হতে চলেছে। তা আগেই জানা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, আগামী মাসের প্রথম দিকে এই রুটে উড়ান পরিষেবা পুনরায় শুরু হতে পারে। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে ভারত সরকারের তরফে এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগোর মতো বিমান সংস্থাগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। কবে থেকে এই পরিষেবা চালু হবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে কম সময়ের নোটিসে যাতে বিমান সংস্থাগুলি উড়ান পরিষেবা শুরু করতে পারে, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
ভারত চিনের মধ্যে ফের বিমান সংযোগ শুরু
চলতি মাসের ৩১ তারিখ থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিনজিয়ানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বৈঠকে যোগ দিতে চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই ভারত-চিনের কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকে এই বিষয়ে আরও বিশদে ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগে ভারতীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়েছিল, এই বিষয়ে বেজিঙের সঙ্গে কথা বলছে বিদেশ মন্ত্রক। ভারত এবং চিনের কূটনৈতিক জটিলতার বরফ এখন বেশ অনেকটাই গলেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাও শান্ত রয়েছে অন্যদিকে অতিমারির সংকটও কেটে গিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিকূলতা কাটিয়ে আবার দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালুর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসেই ভারত-চিনের মধ্যে আরও একবার সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালু করা নিয়ে প্রথম উদ্যোগ দেখায় নয়াদিল্লি। চিন সফরে গিয়ে এই নিয়ে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রীর সঙ্গেও কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ভারত এবং চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা যে ফের চালু হতে পারে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল চিন। চিনের কনসাল জেনারেল জু ওয়েই কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে জানান, দুই দেশের মধ্যে ফের সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালুর জন্য ক্রমাগত কথা বলছে ভারত এবং তার পরেই বিবৃতি দিয়ে উড়ান পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন : পুজোর আগে টোনড ফিগার চান? ডায়েটে রাখুন এই ৩ ধরণের খাবার, মেদ গলবে দ্রুত
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত ও চিনের সৈন্যদের মধ্যে এক উত্তেজনাময় পরিস্থিতি হয়। অভিযোগ ওঠে, পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় এলএসি টপকে চিনা সৈন্যরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। এরপর সেই বছরের ১৫ জুন গালওয়ানে চিনা ফৌজের হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। পাল্টা ভারতীয় জওয়ানদের হামলায় বেশ কয়েক জন চিনা সেনাদেরও প্রাণ যায়। যার জেরে দু’দেশের সম্পর্কে খানিকটা চির ধরে।
আরও পড়ুন : SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পার্থর, তবে এখনই জেলমুক্তি নয়
সেই অবস্থাতে পরে করোনার প্রভাব কাটলেও আর দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে কোনওরকম আভাস পাওয়া যায়নি। অবশেষে সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে ফের ভারত-চিনের মধ্যে সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালুর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।