বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রত্যেক বছর বর্ষার (Monsoon) সময় রাজ্যের একাধিক জেলায় বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত বছরের কথা এখনও অনেকের মনে আছে। এবার তাই আগেভাগেই বেশ কিছু নির্দেশ দিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Panth)। বর্ষার সময়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারি স্তরে কী কী করা যেতে পারে (Government of West Bengal)? এই নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা সেরে ফেললেন তিনি।
কেন্দ্র-রাজ্য (Government of West Bengal) সমন্বয়ে জোর
শুক্রবার নবান্নে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি তথা সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন সীমান্তরক্ষা বাহিনী, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, আবহাওয়া অফিসের প্রতিনিধিরা। ভার্চুয়ালি মিটিংয়ে যোগ দেন জেলাশাসকরা।
জানা যাচ্ছে, সকল রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি (Central Government) দফতরগুলির মধ্যে আরও বেশি সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে। যাতে বিপর্যয় ঠেকানোর পাশাপাশি উদ্ধার এবং ত্রাণের ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া যায়। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিনের বৈঠকে সেচ দফতরকে ডিভিসির সঙ্গে সমন্বয় রাখার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মীনাক্ষীর সামনে বাকবিতণ্ডা, ‘বিদ্রোহে’র আঁচ পুরুলিয়ায়! ছাব্বিশের ভোটের আগেই লাল শিবিরে চরমে কোন্দল!
বর্ষার সময় মাঝেমধ্যেই অভিযোগ উঠে, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে জল ছেড়েছে ডিভিসি (DVC)। ফলে নদী তীরবর্তী নানান জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই বছর যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই জন্য সতর্ক সরকার। এই বছর এই নিয়ে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
এদিনের বৈঠকে জেলাশাসকদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখতে বলেছেন মুখ্যসচিব। সেই সঙ্গেই আশ্রয় শিবিরগুলি দেখে সেখানে দরকারি ব্যবস্থা তৈরি রাখার কথাও বলা হয়েছে। মৎস দফতরকে নির্দেশ, দুর্যোগের কোনও পূর্বাভাস পেলেই মৎসজীবীদের ফের স্থলে ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করতে হবে। কোনও নৌকা যদি জলের মধ্যে বিপদে পড়ে, তাহলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত সেটির অবস্থান জেনে উদ্ধার করতে হবে।
বর্তমানে তীব্র গরমে পুড়ছে রাজ্য। গতকালের বৈঠকে আবহাওয়া দফতর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এই বছর বর্ষা স্বাভাবিক সময়েই বাংলায় ঢুকবে। সেকথা শুনে সেচ দফতরকে মুখ্যসচিব পন্থের নির্দেশ, রাজ্যে বর্ষা প্রবেশের আগেই জরুরি ভিত্তিতে বাঁধগুলি মেরামতির কাজ করে ফেলতে হবে। বোরো চাষের ক্ষেত্রে জলের যাতে কোনও অভাব না হয়, সেটাও দেখতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর বর্ষা আসলেই নদী তীরবর্তী একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। এবার যাতে এমনটা না হয়, সেটা সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী রাজ্য (Government of West Bengal)। আগেভাগেই নবান্নে বৈঠক ডেকে একাধিক দফতরকে নানান নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।