বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহীদ দিবস (TMC Shahid Diwas)। বর্তমানে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। বিশাল জমায়েত! সমাবেশে যোগ দিতে শহরে ঢল নেমেছে জোড়াফুলের সমর্থকদের।
মালদা এবং মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। খাবারের মেনুতে থাকছে সাদা ভাত, সয়াবিনের তরকারি আর অবশ্যই ডিম। তৃণমূলের ঐতিহ্যবাহী ডিম-ভাতের যুগলবন্দী যে থাকবেই সেই বিষয়ে কারও সন্দেহের অবকাশ নেই। গতকাল এখানকার ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন।
তবে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে মেনু থেকে বাদ পড়েছে চাটনি। জানা যাচ্ছে কোথাও কোথাও একবেলা চাটনি দেওয়া হয়েছে। তবে তা টোম্যাটোর নয়। উত্তরে কয়েকটি ছোট শিবিরে বৃহস্পতিবার আমের চাটনির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাচ্চাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত দুধের।
অন্যদিকে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর ও দার্জিলিঙের কর্মী-সমর্থকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। দূরপ্রান্ত থেকে আসা কর্মীদের ভীড় হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে। সমর্থকদের আনতে ভাড়া করা হয়েছে স্পেশাল ট্রেন, বাস।
এখানেও মেনুতে থাকছে একটা তরকারি আর অবশ্যই ডিমের ঝোল-ভাত। মওলানা আজাদ কলেজ লাগোয়া শিবিরে বৃহস্পতিবার রাতে মাছের ঝোল-ভাত দেওয়া হয়েছে। চাটনি থেকে টোম্যাটো বাদ পড়লেও ডিমের ঝোলে অল্প হলেও টোম্যাটোর ছোঁয়া আছে।
জানা যাচ্ছে আজকের সমাবেশের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জলের গাড়ি, জলের প্যাকেট, বায়ো টয়লেট সব কিছুরই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়াও পুরসভার ১৩৩টি মা-ক্যান্টিনও সকাল থেকে খোলা থাকবে। সব মিলিয়ে এলাহী আয়োজন যাকে বলে। এখন পঞ্চায়েত ভোট আর বিরোধী মহাজোটের পর এবার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো কি বার্তা দেন সেই দিকেই নজর সকলের।