বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কিছুদিন আগে সিপিএম নতুন স্লোগান তৈরি করে। “দেখ খুলে রে ত্রিনয়ন! তিহাড় জেলে কম্বল পেতে শুয়ে আছে উন্নয়ন”। বৃহস্পতিবার সিপিএমের পক্ষ থেকে সেই অনুব্রতর জন্য গুড়-বাতাসা নিয়ে যাওয়া হল তিহার জেলে। গত দশ বছর ধরে বাংলার রাজনীতিতে অনুব্রতর বিভিন্ন মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। ভোটের আগে অনুব্রতর বিতর্কিত মন্তব্য শাসক-বিরোধী দুইপক্ষকেই “চাঙ্গা” করে রেখেছে।
চড়াম-চড়াম হোক কিংবা গুড়-বাতাসা, অনুব্রতর মন্তব্য মানেই হিট। অনুব্রত মণ্ডল “গুড়-বাতাসা” নিয়ে প্রথম মন্তব্য করেন ২০১৬ সালের ভোটের সময়। সেই সময়টা ছিল এপ্রিল মাস। এখনো এপ্রিল মাস চলছে। এই সময় দিল্লিতে বেজায় গরম পড়েছে। এমন অবস্থায় সিপিএমের (CPI(M)) পক্ষ থেকে অনুব্রতকে গুড়-বাতাসা পৌঁছে দেওয়ার জন্য “বিশেষ উদ্যোগ” নেওয়া হল।
বুধবার বাম শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর সংগঠনের মহাসমাবেশ ছিল দিল্লির রামলীলা ময়দানে। সেই সমাবেশে যোগদান করার জন্য বাংলা থেকেও বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক গিয়েছিলেন। বাংলা থেকে যাওয়া ৬ জন বাম কর্মী বৃহস্পতিবার সকালে পৌঁছে যান তিহার জেলে। তাদের হাতে ছিল গুড়-বাতাসা। জেলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কর্মীদের বাম সমর্থকরা বলেন যে এই গুড়-বাতাসা অনুব্রতকে দিতে চান তারা।
জানা গেছে, এই ৬ জন কলকাতা পুরসভার কর্মচারী। সঞ্জয় ঘোষাল, অজিত দাস, মহম্মদ সেলিম, বিজয় দত্ত, নারায়ণ দলুই এবং কালাচাঁদ দাস নামের এই বাম সমর্থকরা দেখা করতে চান অনুব্রতর সাথে। যদিও শেষ পর্যন্ত মনের আশা পূর্ণ হয়নি এই বাম কর্মীদের। তিহাড় জেলের (Tihar Jail) পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়, আদালতের নির্দেশ আছে অনুব্রতকে যেন বাইরের খাবার না দেওয়া হয়। এমনকি বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনাও নিষেধ।
অনুব্রতর কাছে গুড়-বাতাসা নিয়ে যেতে না পারলেও কলকাতা পুরসভার ৬ জন কর্মী তিহার জেলের বাইরে মনের আনন্দে ছবি তোলেন। বাম কর্মী সঞ্জয় ঘোষাল বলেছেন, “চড়াম-চড়াম, গুড়-বাতাসা, এসব অনেক শুনেছি আমরা। যার মুখে এসব শুনেছি তিনি এখন জেলে মাটিতে ঘুমোচ্ছেন। ওকে সুস্থ থাকতে হবে। তাই আমরা চেয়েছিলাম ওর হাতে গুড়-বাতাসা তুলে দিতে। তৃণমূলটা শেষ হয়ে যাচ্ছে ওকে তো দেখতে হবে।”