নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে অদৃশ্য বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে, মোদী সরকারকে তোপ শিবসেনার

বাংলা হান্ট ডেস্ক :যদিও জোট ছিল। কিন্তু অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে এনডিএ জোটের যবনিকা পতন হয়েছে। যদিও সম্পর্কটা যে খুব একটা মধুর ছিল এমনটাও নয়। কিন্তু তা যে এতটা তিক্ত ছিল তাও বোঝা যায়নি। তাইতো সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাশ নিযেমোদী সরকারকে সরাসরি তোপ দাগল শিবসেনা।

সোমবার লোকসভায় পাশ হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যদিও বিলটি নিয়ে কম বিরোধিতা নেই। তবুও বিল পাশ নিযে কোনো ঝঞ্জাট দেখছে না বিজেপি। আর তাই মন্ত্রীসভায় ছাড়পত্রে পাওয়ার পর কার্যতস্বস্তির নিঃশ্বাসও ফেলছে গেরুয়া বাহিনী। কিন্তু বিল পাশের আগেই মোদী সরকারকে তোপ দেখে এই বিলের মাধ্যমে হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে অদৃশ্য বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে বলে জানানো হল শিবসেনার মুখপত্র সামনায় সম্পাদকীয়তে।AMITSHAH 1 1

এমনকি দেশের অন্দরে এই বিল পাশ নিয়ে ধর্মীয় যুদ্ধের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।আসলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাজেশ থেকে আসা অমুসলমানদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়েই বিরোধিতা শুরু করেছে বিরোধীরা। এমনকি দশকের পর দশক ধরে মহারাষ্ট্রে বিজেপির জোট বন্ধু শিবসেনার মুখেও একই কথা।

যেহেতু অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জির  তালিকা থেকে ইতিমধ্যে উনিশ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলেই আরও বিপদ হতে পারে এমনটাই মনে করছে কেউ কেউ, যদিও উত্তর পূর্বের নাগরিকদের ও চিন্তার কারণ নেই এমনটাই জানিয়েছেন অসমের রাজ্যসভার সদস্য বিশ্বজিত দায় মারি।

কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে এত লঘু করে দেখতে নারাজ তথ্য জানার অধিকার কর্মী ও কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতা অখিল গগৈ। তিনি জানিয়েছেন নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন উত্তর পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের জন্য ভয়ানক হতে পারে। এমনকি এই বিলের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস।

আসলে যে ভাবে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর অনেক হিন্দু নাগরিক নিজেদের যাবতীয় তথ্য প্রমাণ থাকায় সত্ত্বেও বাদ পড়ে গিয়েছেন তাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।

সম্পর্কিত খবর