বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে তাপমাত্রা। বিভিন্ন জেলায় আবহাওয়া দপ্তর জারি করেছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। এমনকি জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে বেড়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। এমন অবস্থায় গরমে নাজেহাল দীঘা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ। কলকাতা-সহ বর্ধমান, আসানসোল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও দুই মেদিনীপুরের বাসিন্দারা কাহিল তীব্র গরমে।
মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছিল এই বছর দেরিতে প্রবেশ করবে বর্ষা। ফলে প্রত্যেকটি জায়গাতেই দেরিতে শুরু হবে বর্ষার বৃষ্টি। তার আগে ফের একবার বাড়ল তাপমাত্রার পারদ। আজ দিঘা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার পারদ ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রি। অতিরিক্ত গরমের কারণে তাই পর্যটকরা দীঘা থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। তীব্র গরমের কারণে পর্যটকদের দেখা মিলছে না সৈকত শহরে।
সকাল থেকে চড়া রোদের ফলে বেড়েছে গরম। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়নি দীঘা সহ মেদিনীপুরে। আপাতত দীঘা ও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনাও নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই উইকেন্ড-এ ভিড়ও নেই দীঘায়। গতকাল দীঘার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৮%।
ফলে ঘামে প্যাঁচপ্যাঁচে অবস্থা সন্নিহিত এলাকার মানুষদের। আজও তীব্র গরমে পুড়ছে দীঘা সহ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বহু জায়গার তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তীব্র গরমে তাই সমুদ্র সৈকতে যেতে চাইছেন না পর্যটকরা। দীঘা ছাড়াও অন্যান্য সমুদ্র সৈকত যেমন শংকরপুর, মন্দারমনি, তাজপুরেও বিশেষ দেখা নেই পর্যটকদের।