বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রেমের বিয়ে ছেলের পরিবার মানতে নারাজ। এক লক্ষ টাকা ও পাঁচ ভরি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছেন স্বামী ও শ্বশুর। ঘটনার প্রতিবাদে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন স্ত্রী। এরপর স্থানীয়দের সাহায্যে শ্বশুরবাড়িতে জায়গা পেলেন স্ত্রী। বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নেওড়া গ্রাম সাক্ষী থাকল এমনই এক নাটকীয় ঘটনার।
২২ বছরের আলিফ মন্ডলের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার বানমোড়া গ্রামের ২৫ বছরের সাবিনা খাতুনের। এরপর সেই আলাপ রীতিমতো প্রেমে পরিণত হয়। এরপর বাড়ির অমতেই বিয়ে (Marriage) করেন আলিফ ও সাবিনা। এরপরই শুরু হয় অশান্তি।
আরোও পড়ুন : খরচ মাত্র ৮৭ টাকা! কলকাতা টু সুন্দরবন জার্নি এবার আরোও সহজ, নয়া উদ্যোগ SBSTC’র
আলিফের পরিবার মানতে নারাজ পুত্রবধূকে। বিয়ের পর ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় সাবিনাকে। এরপর প্রায় পনেরো দিন রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আলিফের বাড়ির সামনে বসে থাকেন সাবিনা। সাবিনার এই অবস্থা দেখে গ্রামের বাসিন্দারা সালিশি সভার আয়োজন করেন।
আরোও পড়ুন : বাঁচবে বহু পড়ুয়ার প্রাণ! র্যাগিং রুখতে বাংলার ছেলে শৌনক যা করলেন…
কিন্তু সেই সভায় কোনও সমাধান সূত্র বের হয়ে আসেনি। নববিবাহিতা স্ত্রীকে বাড়িতে তোলার ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বামী ও শ্বশুর। এরপর গ্রামবাসীদের সাহায্যে শ্বশুরবাড়ির ঘর দখল করেন সাবিনা। এরপর স্বামীর পরিবারের তরফ থেকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হয় সাবিনার উপর।
কিন্তু সাবিনা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে তিনি এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবেন না। সাবিনার অভিযোগ, তার পেটের সন্তানকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। কিন্তু সেই কথা তিনি শোনেননি। বর্তমানে গ্রামের মানুষদের সহায়তায় দুবেলা অন্নের সংস্থান হয়েছে সাবিনার।