জেদ করে ছেড়েছিলেন বাড়ি! শেষমেশ আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো জয় করেই ঘরে ঢুকলেন হাবড়ার লক্ষ্মী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ থেকে প্রায় একশ বছর আগে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় সৃষ্টি করেছিলেন তাঁর অমর উপন্যাস ‘চাঁদের পাহাড়।’ এবার অনেকটা সেই উপন্যাসের কাহিনী যেন বাস্তবে প্রতিফলিত হল। হাবড়ার ৩২ বছরের মেয়ে লক্ষ্মী ঘোষ জয় করলেন আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো পর্বত। এত কম বয়সে এক বাঙালি মহিলা হিসেবে এটি এক রেকর্ড।

আফ্রিকার তানজানিয়ার কিলিমাঞ্জারোর (Mount Kilimanjaro) ৫৮৯৫ মিটারের দুর্গম পথ জয় করা মোটেই সহজ ছিল না লক্ষ্মীর পক্ষে। হাবড়ার (Habra) লক্ষী শ্রীচৈতন্য কলেজে এনসিসি করতেন। ২০১১ সালে সেই সুবাদে তিনি যান পুরুলিয়ায় রক ক্লাইম্বিং প্রশিক্ষণের কোর্সে। সেই থেকেই শুরু পথচলা। তখন থেকে জন্মায় পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসা।

সেই ভালোবাসা থেকে ২০১২ সালে তিনি সম্পন্ন করেন এডভান্স কোর্স। এরপর পাহাড়ে চড়ার দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নেন দার্জিলিংয়ের মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে। লক্ষীর এই সাফল্যে আজ খুশি প্রতিবেশী থেকে আত্মীয় সবাই। প্রত্যেকেই প্রথম থেকেই তার পাশে ছিলেন। এরকম ভাবে আফ্রিকা চলে যাওয়ায় সীমা দেবী প্রথমে বেশ চিন্তায় ছিলেন।

আরোও পড়ুন : রাতে ট্রেনে উঠে সকালেই পৌঁছে যান দিঘা! সৈকত নগরীতে যাওয়ার নতুন ট্রেন চালু করল রেল

মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুতই ছিলেন লক্ষ্মী। হঠাৎই ঠিক করেন তিনি পাড়ি দেবেন আফ্রিকার তানজিনিয়ার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো। তাই অনেকটা জেদ করেই বেরিয়ে যান বাড়ি থেকে। ৩২ বছরের এই বাঙালি মেয়ের আফ্রিকায় জয় নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয় প্রত্যেকের কাছে। আফ্রিকার পাহাড় জয় করে এসে উচ্ছ্বসিত লক্ষ্মী। এবার তার লক্ষ্য এভারেস্ট।

screenshot 2023 08 22 12 30 36 71

লক্ষ্মী ঘোষের মা সীমা ঘোষ চাইছেন তার মেয়ের স্বপ্ন যেন পূরণ হয়। কিলিমাঞ্জারো জয় করার পর যখন মেয়ে বাড়ি ফিরে এল তখন তার খুশির অন্ত ছিল না। তারা চাইছেন তাদের ঘরের মেয়ে যাতে আগামী দিনে আরো অনেক দূর যায়। বহু মানুষ এখন আসছেন লক্ষীর বাড়িতে, তার মুখ থেকে শুনছেন নতুন ‘চাঁদের পাহাড়ে’র গল্প।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর